কথা ছিল ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা৷ ক্যাম্পাসে আসতে সহায়তা করবেন পরিবহন শ্রমিকরা। কিন্তু সে কথা রাখেননি তারা। এদিকে ধর্মঘটেও পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তে অটল ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ কিন্তু সেই ধর্মঘটের মধ্যেই লাঞ্ছিত হলেন চবি শিক্ষক। আর মারধরের শিকার হন শিক্ষকদের বহনকারী চবির এক বাসচালক৷ এ সময় শ্রমিকরা ওই বাসচালকের মোবাইল ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেন।
Advertisement
দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার চলমান ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে সোমবার সকাল ৮টার দিকে বহাদ্দারহাট টার্মিনালে এই লাঞ্ছনা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার বাসচালকের নাম মোহাম্মদ দুলাল।
এ সময় ওই বাসে থাকা শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলে তাদেরও লাঞ্ছিত করেন শ্রমিকরা। বর্তমানে বাস চালক দুলাল চবি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
ওই বাসে থাকা আরবি বিভাগের শিক্ষক ড. কাজী হারুন-উর-রশীদ জাগো নিউজকে বলেন, সকালে শিক্ষকদের তিন নম্বর বাসটি (১১-০০২৫) রাহাত্তারপুল থেকে বহাদ্দারহাট টার্মিনাল আসে। এ সময় সেখানে থাকা একদল পরিবহন শ্রমিক বাস চলাচলে বাধা দেন ও বাস চালক দুলালকে কিল-ঘুষি মারেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে বাসে থাকা চারজন শিক্ষককে মারতে উদ্যত হন শ্রমিকরা এবং লাঞ্ছিত করেন।
Advertisement
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আহত বাসচালক দুলাল বলেন, ‘আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। ভর্তি পরীক্ষা ধর্মঘটের আওতামুক্ত জানালে তারা অকথ্য ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় বিশ্ববিদ্যালয়কে গালিগালাজ করে। এ সময় আমার মোবাইল ও নগদ ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।’
এ বিষয়ে প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী জাগো নিউজকে জানান, আমরা বিষয়টি শুনেছি। নগর পুলিশকে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জানিয়েছি৷
আবদুল্লাহ রাকীব/এফএ/জেআইএম
Advertisement