জাতীয়

আরও চড়েছে সিএনজির চড়া ভাড়া

‘এয়ারপোর্ট, উত্তরা, আবদুল্লাহপুর একশ টাকা, একশ টাকা। অ্যাই যাবেন নাকি, এয়ারপোর্ট, উত্তরা, আবদুল্লাপুর, জনপ্রতি একশ টাকা।’

Advertisement

আজ (সোমবার) সকাল পৌনে ৮টায় শাহবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে এভাবেই উচ্চস্বরে যাত্রীদের ডাকছিলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক মফিজুর রহমান।

অদূরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে দাঁড়িয়ে আরও দু’জন চালক। তাদের পাশে মোটরসাইকেল পার্কিং করে দাঁড়িয়ে খোশগল্পে ব্যস্ত কয়েকজন ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের মালিক। মোড়ে সরকারি বিআরটিসি বাসে দাঁড়িয়ে কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা যাত্রী। সিএনজিচালকের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না তারা।

কিছুক্ষণের মধ্যে একটি বিআরটিসি বাস এলে হুড়মুড় করে যাত্রীরা বাসে উঠার প্রতিযোগিতায় নামেন। একজন বয়স্ক মহিলা চলন্ত বাসে লাফিয়ে উঠতে দেখে অনেকেই ভয়ে আঁতকে ওঠেন।

Advertisement

জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক শাহবাগ মোড়ে অবস্থানরত সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের কাছে চলমান ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শেষ না হলেও রাস্তায় নামার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ, দিন আনি দিন খাই, গাড়ি না চালাইলে টাকা পামু কই, খামু কী, তাই সহকর্মী শ্রমিকদের হাতে মাইর খাওয়ার ভয় থাকলেও পেটের দায়ে রাস্তা নামতে বাধ্য হইছি।’

সরেজমিনে ধানমন্ডি, লালবাগ, আজিমপুর, নিউমার্কেট, শাহবাগ ও কলাবাগান ঘুরে দেখা গেছে গতকাল ধর্মঘটের প্রথম দিন রাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা দেখা না গেলেও আজ সীমিত পরিসরে এ বাহনটি রাস্তায় নেমেছে।

তবে যাত্রীরা জানিয়েছেন, গণপরিবহন না থাকায় সিএনজি চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকছেন। গতকালের মতো আজও গণপরিবহন বলতে সরকারি বিআরটিসি বাস। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বাস রাস্তায় নামেনি। ফলে বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেই ঢাকার রাস্তায় সিএনজি চালকরা ভাড়া হাঁকেন তাদের ইচ্ছেমতো। মিটার ও স্বল্প দূরত্বে যেতে নারাজ অধিকাংশ চালক। এর উপরে পরিবহন ধর্মঘটের সুযোগে আজ আরও চড়া ভাড়া হাঁকছেন চালকরা।

Advertisement

গণপরিবহন ধর্মঘটে কদর বেড়েছে ভাড়ার মোটরসাইকেলের। ধর্মঘটের প্রভাবে রাজধানীর অধিকাংশ রাস্তা ফাঁকা থাকায় মানুষ ভাড়ার মোটরসাইকেলে যাতায়াত করাকে শ্রেয় ধরে নিচ্ছেন। তাছাড়া ভাড়াও সহনীয় বলে যাত্রীরা জানান।

এমইউ/এনএফ/জেআইএম