জাতীয়

এ বছরেই ডিএনসিসির দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন

দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস করতে প্রতিটি শহরের নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা থাকা আবশ্যক। তাই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এ ধরনের একটি কর্মপরিকল্পনা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে যাচ্ছে।

Advertisement

গত ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপশন অ্যান্ড ডিজাস্টার রিক্স রিডাকশন অ্যাকশন প্ল্যান’শীর্ষক কর্মশালা শেষে রোববার নগর ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র মো. জামাল মোস্তফা।

সাংবাদিকদের অবহিতকরণের শুরুতে কর্মশালার অগ্রগতি সম্পর্কে ডিএনসিসির ‘আরবান রিজিলিয়েন্স’ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক ড. তারিক বিন ইউসুফ ইউনাইটেড নেশন অফিস ফর ডিজাস্টার রিক্স রিডাকশনের (ইউএনআইএসডিআর) সেন্ডিয়া ফ্রেম ওয়ার্কের আলোকে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে ডিএনসিসির অগ্রগতি তুলে ধরেন।

তিনি জানান, সেন্ডিয়া ফ্রেম ওয়ার্কের ১০টি ‘এসেনশিয়াল’এর আওতায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। ২৫ থেকে ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ১০টি ‘এসেনশিয়াল’এর মধ্যে ৫টির বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ৫টি ‘এসেনশিয়াল’এর কাজ ডিসেম্বর ২০১৮ এর মধ্যে সম্পন্ন হবে।

Advertisement

এ কর্মপরিকল্পনার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে- ডিএনসিসির ‘মক ড্রিল’অনুশীলনের আয়োজন; নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকে গুরুত্ব দিয়ে সব কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন; দুর্যোগকালে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জরুরি ভিত্তিতে সেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুতকরণ এবং দুর্যোগ প্রতিরোধের জন্য অবকাঠামোগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; দুর্যোগ পূর্বাভাস প্রদানের জন্য দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির ডেটাবেজ প্রণয়ন।

সেন্ডিয়া ফ্রেমওয়ার্কের আলোকে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস করার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে ইউএনআইডিআর ডিএনসিসিকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে।

প্যানেল মেয়র বলেন, ‘আমাদের শহরে দুর্যোগ বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে আবির্ভূত হয়। তাই দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতিও আমাদের থাকা প্রয়োজন। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে এ কর্মশালা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন, ইউএনআইডিআর’র পক্ষে তেজাস পাটনায়েক প্রমুখ।

Advertisement

এএস/এনডিএস/আরআইপি