দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় রেয়াতি সুদহার এক শতাংশ কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী ১ নভেম্বর থেকে দুধ উৎপাদনে গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ঋণের হার হবে ৪ শতাংশ। এতদিন পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় রেয়াতি সুদহার ছিল ৫ শতাংশ।
Advertisement
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক শেখ হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বেকার যুবকদের আত্ম-কর্মসংস্থান, পুষ্টির চাহিদা পূরণ, গুঁড়ো দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রীর আমদানি নির্ভরতা কমানো, বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় ও দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের জুনে ২০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক এবং কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এই তহবিলের অর্থ বিতরণ করা হচ্ছে।
পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উনয়ন ব্যাংক। বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি, মিডল্যান্ড, ন্যাশনাল ব্যাংক রয়েছে। এ ছাড়া আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
Advertisement
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় প্রযোজ্য সুদহারের তুলনায় প্রকৃত সুদ ক্ষতিবাবদ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাবি করতে পারবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো বার্ষিক কৃষি ঋণ কর্মসূচির আওতায় দুধ উৎপাদনে রেয়াতি সুদে প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে আদায়কৃত/সমন্বয়কৃত ঋণ হিসাবগুলোর বিস্তারিত তথ্য (যেমন : মোট ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা, ঋণ মঞ্জুরের সময়কাল, বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ, রেয়াতি সুদ আরোপের ফলে মোট ক্ষতির পরিমাণ ইত্যাদি) উল্লেখপূর্বক সংশ্লিষ্ট বছর সমাপ্তির পরবর্তী এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সুদ ক্ষতির আবেদন করবে।
এসআই/জেডএ/জেআইএম
Advertisement