হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন তাঁর পিতা আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর মতোই। তাঁরা উভয়েই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা ও কাজের একান্ত অনুসরণ ও অনুকরণকারী।
Advertisement
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদেশ, নিষেধ, নসিহত ও বিধানাবলীর প্রচার প্রসারেও ছিলেন একনিষ্ঠ। উদ্দেশ্য একটাই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন এবং মানুষকে দ্বীনের সঠিক দেখানো।
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ মাদকে আষক্ত। মাদকের ছোবলে শিশু, কিশোর যুবক বৃদ্ধ টালমাটাল। এসব মাদকের মধ্যে মদ অতি প্রাচীন কাল থেকেই সমাজ পরিচিত। হেরোইন, গাঁজা, ইয়াবাসহ আরো কতো মাদক রয়েছে।
এ সব মাদক ব্যবহারকারী ব্যক্তিকে শুধু আল্লাহ অভিশপ্ত করেননি, এ মাদকের সঙ্গে জড়িত আরো ৮ শ্রেণির লোক রয়েছে যারা সমান অপরাধী। হাদিসে সে সব ব্যক্তি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ঘোষণা এসেছে-
Advertisement
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা (মদসহ ও মদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮ শ্রেণির ব্যক্তির ওপর) লানত তথা অভিশাপ দিয়েছেন। তাহলো-
> মদের ওপর;> মদ পানকারীর ওপর;> (পানশালায়) যে মদ পান করায় তার ওপর;> মদ বিক্রেতার ওপর;> মদ যে ক্রয় করে তার ওপর;> মদ যারা তৈরি করে তাদের ওপর;> মদের ফরমায়েশদাতার (মদ তৈরির পরামর্শদাতা) ওপর;> মদ বহনকারীর ওপর এবং> যার কাছে মদ বহন করে নিয়ে যাওয়া হয় তার ওপর।’ (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)
আরও পড়ুন > যে তিন শ্রেণির লোক জান্নাতে যেতে পারবে না
মদের ব্যাপারে হাদিসের যে হুকুম, মাদকের (হিরোইন, গাঁজা, ইয়াবা, শীষাসহ যাবতীয় মাদকের) ক্ষেত্রেও তা সমভাবে প্রযোজ্য।
Advertisement
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত মাদকের নেশা থেকে নিজেদের মুক্ত করে আল্লাহর লানত থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করা। কেননা মদসহ সব ধরণের মাদক গ্রহণই হারাম।
আল্লাহ তা্আলা মুসলিম উম্মাহকে মদসহ যাবতীয় মাদকের কবল থেকে হেফাজত করুন। মদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ধরণের কার্যক্রমে নিজেকে বিরত রেখে আল্লাহর লানত থেকে হেফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আরআইপি