দেশজুড়ে

চলছে পোড়া মবিলের হোলি খেলা

সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

Advertisement

ধর্মঘটের মধ্যে রাস্তায় নেমে চরম দুর্ভোগে পড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সাধারণ মানুষ। একদিকে রাস্তায় যানবাহন নেই অন্যদিকে কোনো যানবাহন রাস্তায় নামতে দেখলেই দলবদ্ধভাবে তা আটকে দিচ্ছে শ্রমিকরা। সেই সঙ্গে যাত্রী ও চালকদের মুখে পোড়া মবিল লাগিয়ে দেয় তারা। তাদের হাত থেকে ছাড়া মেলেনি কারও। শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী এমনকি রোগীদেরও আটকে দেয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্স ও রিকশাচালকের মুখে লাগিয়ে দেয়া হয় পোড়া মবিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে কোনো গাড়ি চলছে না। এর মধ্যে জরুরি কাজে কিংবা রোগী নিয়ে কেউ হাসপাতালে যেতে রিকশা ভাড়া করলে যাত্রী ও চালককে নামিয়ে মুখে পোড়া মবিল লাগিয়ে হয়রানি করছে শ্রমিকরা। কোনো রিকশা কিংবা মোটরসাইকেল আসতে দেখলেই দলবদ্ধভাবে আটকে চালক ও যাত্রীদের হয়রানি করে তারা।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি জানান, সকাল থেকেই ঠাকুরগাঁও আন্তঃজেলা টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। জেলা শহর থেকে ঢাকা যাওয়ার কোচগুলো বন্ধ রয়েছে। বিআরটিসি বাস পর্যন্ত চলতে দিচ্ছে না শ্রমিকরা। অফিসগামী যাত্রী আর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে প্রতিটি মোড়ে। পরিবহন শ্রমিকরা এই কর্মসূচিকে কর্মবিরতি বললেও ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও বাধা সৃষ্টি করছে তারা।

Advertisement

ঠাকুরগাঁও বিআরটিসি কাউন্টারে যোগাযোগ করে জানা যায়, বিআরটিসি বাসগুলো আটকে দিচ্ছে শ্রমিকরা। সেইসঙ্গে চালক ও যাত্রীদের লাঞ্ছিত করছে তারা। ফলে বিআরটিসি বাসগুলো বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, সকাল থেকে শহরের ভালো পরিবেশ দেখা গেলেও দুপুর ১২টার মধ্যে পাল্টে যায় চিত্র। দেখে মনে হয়েছে শহরে চলছে পোড়া মবিলের হোলি খেলা। সড়কে চলতে দিচ্ছে না যাত্রীদের বিকল্প যানবাহন অটোরিকশা, রিকশা ও সিএনজি। যানবাহনগুলো আটকে মুখে মাখিয়ে দেয়া হচ্ছে পোড়া মবিল। এতে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। সেইসঙ্গে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও। এভাবেই চলছে শ্রমিকদের প্রথম দিনের ধর্মঘট।

রবিউল এহসান রিপন/এএম/আরআইপি

Advertisement