জাতীয়

ধর্মঘটের সুযোগ নিচ্ছে পাঠাও-উবার চালকরাও

>> ভাড়া নেয়া হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ>> বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া গুনছেন যাত্রীরা

Advertisement

সদ্য পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’র কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে সারাদেশে ধর্মঘট পালন করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে রোববার সকাল থেকে অফিসগামীদের বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়।

এই সুযোগে রিকশা-সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে যাত্রীদের কাছ থেকে। একই অবস্থা রাইড শেয়ারভিত্তিক অ্যাপস কোম্পানি পাঠাও-উবারেরও।

রাইট শেয়ারিংয়েও জিম্মি আচরণ শুরু হয়েছে। অ্যাপস ভিত্তিক ভাড়ায় যাত্রী না নিয়ে কন্ট্রাকে যাতায়াত করছে তারা। ফলে বাড়তি পয়সা গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।

Advertisement

চালকরা বলছেন, অ্যাপসভিত্তিক চললে অনেক সময় যাত্রী দূরে দূরে থাকে। এতে সময় বেশি লাগে। কিন্তু ইনন্ট্যান্ট যাত্রী নিলে সে সময় লাগে না। এছাড়া কন্ট্রাক্টে লাভও বেশি হচ্ছে। ভাড়াও দ্বিগুণেরও বেশি আসছে।

ধর্মঘটের কারণে অনেক সময় পর পর দু-একটি বিআরটিসি বাস এলেও সেগুলো থাকে ভরা। তাই যাত্রী নিরূপায় হয়ে রাইট শেয়ারিংয়ের বাইক কিংবা প্রাইভেটে গন্তব্যে রওনা হচ্ছে। বিকল্প যানবাহনই সেখানে একমাত্র ভরসা, এ সুযোগ নিচ্ছেন পাঠাও-উবার চালকরা।

বলা চলে, ধর্মঘটের সুবাদে কপাল খুলেছে চালকদের। কেননা দ্বিগুণ ভাড়া হাঁকছেন তারা। বাধ্য হয়ে উঠতেই হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে থাকা নগরবাসীর।

রোববার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। কর্মসূচির প্রথম দিন রাজধানীতে চলছে না গণপরিবহন।

Advertisement

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত বাইকে সর্বোচ্চ ভাড়া আসে ৫০ টাকা। আজ কোনো অ্যাপস ব্যবহার করছে না বাইকাররা। সুযোগ বুঝে চুক্তিতে যাচ্ছেন তারা। ভাড়া নিচ্ছেন ১৫০- ২০০ টাকা।

আরিফ নামে এক যাত্রী জাগো নিউজকে জানান, জরুরি কাজ, গুলিস্তান যেতেই হবে। ভাড়া দ্বিগুণ নিলেও কিছু করার নেই্ এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে।

হুমায়ুন আহাম্মেদ নামে পাঠাওয়ের এক চালক জাগো নিউজকে বলেন, ‘হেলমেটে পাঠাও লিখা থাকলে যাতায়াতে সমস্যা করছে। অনেক সময় উল্টাপাল্টা কথা বলছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে প্রচুর রিকোয়েস্ট পাচ্ছি। লোকেশন অনেক সময় দূর দূরান্তে। ফলে রাস্তার পাশ থেকে যাত্রী নিয়েই যাচ্ছি।’

জানা গেছে, বাস সঙ্কটের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে রাইড শেয়ারিং অ্যাপসের রাইডার ও ড্রাইভারদের সংখ্যাও কমে গেছে। কারণ অনেকেই চুক্তিভিত্তিক ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছে।

শামীম আহমেদ নামে পাঠাওয়ের আরেক রাইডার জাগো নিউজকে বলেন, ‘সুযোগ তো সব সময় হয় না। অন্যদিকে যেতেও চাই না অ্যাপস ছাড়া। কিন্তু অনেকে এসে রিকোয়েস্ট করছে বলে যেতে হচ্ছে।’

এমএ/এনডিএস/জেআইএম