#মিটু আন্দোলনের জেরে টালমাটাল অবস্থা বলিউডের। তবে তাতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বোধহয় ‘হাউসফুল-৪’ ছবির। যৌন নিগ্রহের জেরে আগেই পরিচালনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সাজিদ খান। তনুশ্রী দত্ত অভিযোগ আনার পর সরতে হয়েছে নানা পাটেকারকেও। তবে বিতর্ক থামেনি সেখানে। ছবির শুটিং চলাকালীন তার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে এবার অভিযোগ আনলেন এক তরুণী জুনিয়র আর্টিস্ট।
Advertisement
ভারতীয় পত্রিকা আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুটিংয়ের সময় ঘটনাস্থলে হাজির এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন ওই আর্টিস্ট।
পেশায় নৃত্যশিল্পী ওই তরুণী জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ের চিত্রকূট ময়দানে একটি দৃশ্যের শুটিং চলছিল। ছবির দুই মুখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার এবং রিতেশ দেশমুখ হাজির ছিলেন সেখানে। মাঝে ৫-১০ মিনিটের চা বিরতিতে সহশিল্পীদের সঙ্গে একপাশে বসে একটু জিরিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। সেইসময় সহকর্মী আমির এসে তার পাশে বসে। এ সময় সংগঠনের আরেক নৃত্যশিল্পী সাগরও এসে যায়। তার সঙ্গে আরও চারজন লোক ছিল।
তিনি বলেন, ‘আচমকাই আমিরকে ধরে টানাহ্যাঁচড়া শুরু করে তারা। একজনের সঙ্গে দেখা করাতে নিয়ে যাবে বলে জোর করতে শুরু করে। সেই নিয়ে বচসা শুরু হলে আমি মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে যাই। কিন্তু উল্টো আমার ওপরই চড়াও হয় তাদের মধ্যে পবন নামের একটি ছেলে। আমাকে পাঁজকোলা করে তুলে নেয়। অশ্লীল আচরণ শুরু করে।’
Advertisement
ওই নৃত্যশিল্পী আরও বলেন, ‘সেই সময় আমি চিৎকার করে উঠি। যা শুনে শুটিংয়ের লোকজন সেখানে ছুটে আসে। অক্ষয়কুমার এবং রিতেশ দেশমুখও আসেন। আমাকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন অক্ষয়। সকলকে সেখানে দেখে ঘাবড়ে যায় পবন। সেট ছেড়ে পালিয়ে যায় সে।’
এ বিষয়ে ছবির এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার মনোজ মিত্র সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তবে শুটিং চলাকালীন তা ঘটেনি। শুটিং শেষ হওয়ার পর ঝামেলা বেঁধেছিল। পুরোটাই ওদের ব্যক্তিগত ঝামেলা। ছবির সঙ্গে কোনো যোগ নেই। অক্ষয় এবং রিতেশের প্যাক আপ হয়ে গিয়েছিল ঢের আগেই। ওদের সেখানে হাজির থাকার প্রশ্নই ওঠে না।’
শুটিং শেষ হওয়ার পরই ঝামেলা বেঁধেছিল বলে দাবি করেছেন ছবির নৃত্যশিল্পীদের প্রধান রমন দাভ। যদিও সেইসময় তিনি ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন না। সেট অ্যাটেন্ড্যান্ট স্যান্ড্রার কাছ থেকে নাকি জানতে পেরেছিলেন বিষয়টি।
তার দাবি, বহিরাগত এক ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলা বেঁধেছিল পবনের। সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটির ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
Advertisement
এসআর/পিআর