রাজশাহীর পদ্মা নদীতে মো. সনি (২২) নামের এক গরুর রাখালের মরদেহ ভেসে উঠেছে। মরদেহে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে তাকে গুলি করেছে পদ্মায় ফেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
Advertisement
শনিবার দুপুরে জেলার পবা উপজেলার গহমাবোনা এলাকার বিপরীতে ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন পদ্মা নদীতে সনির মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে স্বজনরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নেন। নিহত সনি গোদাগাড়ী উপজেলার বিয়ানাবোনা গ্রামের গোলাম রসুল বেনুর ছেলে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
পরিবারের দাবি, গোদাগাড়ীর খরচাকা সীমান্ত থেকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায় সনিকে। ওই সময় তার সহযোগী একই গ্রামের মো. খোকার ছেলে রাসেলকে লক্ষ্য করে গুলি করে বিএসএফ। রাসেল গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাজশাহীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, এ ঘটনা নিয়ে শুক্রবার ভারতের টিকলির চর ও চর লবণগোলা ক্যাম্পের বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে কাউকে ধরে নিয়ে যাওয়া বা গুলির কথা অস্বীকার করেছে বিএসএফ। এর একদিন পর নদীতে সনির মরদেহ ভেসে উঠল।
Advertisement
সনির মরদেহ উদ্ধারে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, মরদেহে পচন ধরেছিল। তারপরও গুলির চিহ্ন স্পষ্ট ছিল। বিএসএফের গুলিতে সনি নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য লিটন হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর রাসেল ও সনি পদ্মা নদী পার হয়ে গোদাগাড়ীর খরচাকা সীমান্তে গরু আনতে যান। তখন বিএসএফ সনিকে ধরে নিয়ে যায়। হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাসেল পালিয়ে আসেন।
বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তাজ বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, সনিকে বিএসএফ নিয়ে গেছে। তাই আমরা ভারতের দুটি ক্যাম্পের বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছিলাম। বিএসএফ আমাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। মরদেহ উদ্ধারের পর আবার নিহত ব্যক্তির বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলছেন, জালে জড়িয়ে তার ভাইয়ের মৃত্যু হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী থানা পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। কেউ অভিযোগ করলে এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/জেআইএম