ক্যাম্পাস

পরীক্ষার হলে ক্যাটরিনা!

বলিউডের নায়িকা ক্যাটরিনা কাইফকে চেনেন না এমন কেউ নেই বললেই চলে। শিরোনাম দেখে কিছুটা চমকে গিয়ে অনেকেই ভাবছেন, অভিনয় ছেড়ে দেননি তো ক্যাটরিনা? ছাড়লেও ভর্তি পরীক্ষার হলেই বা কেন পাহারা দিতে আসবেন। কিন্তু ক্যাটরিনা পরীক্ষা কেন্দ্রের পাহারায় ছিল এটাই বাস্তবতা। তবে এই ক্যাটরিনা বলিউডের নায়িকা নয়, একটি বিড়ালের নাম।

Advertisement

শনিবার শুরু হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের অনুষ্ঠিত বি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কেন্দ্র পাহারায় ক্যাটরিনা নামের এই বিড়ালকে দেখা যায়।

দুপুরে ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় শিফটে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের একটি পরীক্ষার হলে পাহারায় দায়িত্বরত বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষকের সঙ্গে ক্যাটরিনা উপস্থিত ছিল। তবে এ সময় হলে শিক্ষকদের পাশেই চুপচাপ বসেছিল ক্যাটরিনা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খ. আলী আর রাজীর সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে ক্যাটরিনা নামের এই বিড়ালের। পাঁচ বছর আগে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে ক্যাটরিনার সঙ্গে পরিচয় হয় এই শিক্ষকের। তখন থেকে এই শিক্ষকের সঙ্গে থাকতে ভালোবাসে ক্যাটরিনা। বিড়ালটিকে আদর করে ক্যাটরিনা নাম দেন এই শিক্ষক।

Advertisement

ক্যাটরিনা নামের এই বিড়ালের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী অধ্যাপক খ.আলী আর রাজী জাগো নিউজকে বলেন, ক্যাটরিনা নামের বিড়ালটি যখনই আমার শব্দ শোনে বা দেখতে পায় তখনই ছুটে আসে। সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের লাউঞ্জ, ক্যান্টিন ও ঝুপড়িতে তার সঙ্গে আমার দেখা হয়।

শিক্ষকদের সঙ্গে কেন্দ্র পাহারায় ক্যাটরিনার বিষয়ে তিনি বলেন, শনিবার দুপুর ১২টা থেকেই ক্যাটরিনা আমার সঙ্গে রয়েছে। দুপুরে পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালনের সময় সে আমার সঙ্গে হলে প্রবেশ করে। পুরো পরীক্ষা চলাকালীন আমার পাশেই চুপচাপ বসেছিল। তবে কিছুটা ভিত ছিল ক্যাটরিনা। হয়তো এত মানুষ দেখে ভয় পেয়েছিল সে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ক্যাটরিনার দায়িত্ব পালনের ছবিটি পোস্ট করেছেন এই শিক্ষক। সেখানে আবদুল্লাহ শিবলী নামে একজন মন্তব্য করেছেন, বিড়ালের চোখ পরীক্ষার হলে, মোবাইল ডিভাইসের জালিয়াতি ভালোই বুঝতে পারে।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাংবাদিক শাহেদা পিয়া মন্তব্য করন, কিউট তো বিড়ালটা। ক্যাটরিনার চেয়েও সুন্দর।

Advertisement

এদিকে, শনিবার অনুষ্ঠিত কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের অন্তর্ভুক্ত বি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সকাল ও বিকেল দুই শিফটে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২৭ হাজার ৫২৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউনিট প্রধান ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দার চৌধুরী। এই ইউনিটে ৬০০ আসনের বিপরীতে মোট আবেদন ৩১ হাজার ৭৯০টি আবেদন জমা পড়েছিল। সে হিসেবে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৮৭ শতাংশ।

আবদুল্লাহ রাকীব/এএম/এমএস