চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে সমাবেশ করতে না দেয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করে এ ঘটনায় মামলার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
Advertisement
শনিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর নাসিমন ভবনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুমকি দেন তিনি।ড. কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশ কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। এদেশের মালিক ১৬ কোটি জনগণ। আজকে জনগণ ৭ দফার পক্ষে হাত উঠিয়ে গণরায় দিয়েছে। সরকারকে বলব, সময় থাকতে ৭ দফা দাবি মেনে নিন। যারা ১৬ কোটি মানুষকে কষ্ট দেয়, আমি বেঁচে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করব।’
তিনি বলেন, ‘মিছিল সমাবেশ জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। সরকার সে অধিকারে বাধা দিয়ে পদে পদে সংবিধান লঙ্ঘন করছে। লালদীঘিতে কেন সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না তা খুঁজে বের করব। ঢাকায় গিয়ে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে মামলা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানে লেখা আছে দেশের মালিক জনগণ, সরকার সেবক। এখন সেবকরা মালিককে কষ্ট দিচ্ছে। লালদীঘিতে সমাবেশ হলে সবাই বসে কথা শুনতো। রাস্তার উপর সমাবেশে এসে একটানা ৪ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে বক্তব্য শোনা কষ্টকর। যারা এ কষ্ট দিল তাদের বিচার জনতার আদালতে হবে।’
Advertisement
গত ২০ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম লালদীঘি ময়দানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়।
কিন্তু চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখে। টানা ছয়দিন অপেক্ষার পর একেবারে শেষ মুহূর্তে গতকাল সকালে নগর বিএনপি কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে সমাবেশের অনুমতি পায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট চট্টগ্রামের অন্যতম সমন্বয়ক নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আবদুল্লাহ আল নোমানসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে বেলা ২টা থেকে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা দেড়টার পর কোরআন তেলাওয়াত ও গীতাপাঠের মধ্য দিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। সমাবেশের কারণে কাজীর দেউড়ি নূর আহমদ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
Advertisement
সমাবেশকে কেন্দ্র করে সভাস্থলের আশপাশ ছেয়ে গেছে বিএনপি ও ছাত্রদল-যুবদলের কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি চেয়ে ব্যানার পোস্টারে। মঞ্চের সামনে নাসিমন ভবনের সামনে মঞ্চে থেকে কাজীর দেউড়ি পর্যন্ত এলাকায় অবস্থান নেয় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ঐক্যফ্রন্টের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
এনডিএস/জেআইএম