বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দীর্ঘ ১০ বছর দেশের মানুষকে এই স্বৈরাচারী সরকার জিম্মি করে রেখেছে। এবারও তারা জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু জনগণ ভাঙা নৌকায় আর উঠবে না।’
Advertisement
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর নাসিমন ভবনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই জাতি মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। তাদের হারানোর কিছু নেই। অন্যায় এবং অপরাধকে ভিত্তি করে সরকার দেশ পরিচালনা করছে। জনগণ তা আর মেনে নেবে না। সরকার জানে তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। তাই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বন্দী করে ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘সরকার নিজেরা নাশকতা-সহিংসতা করে। তারপর বিরোধীদলের ওপর দোষ দেয়। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বন্দী করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, জনগণকে জিম্মি করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। বন্দুক, পিস্তল দেখিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বপ্ন পাকিস্তানিরাও দেখেনি। আমরা অন্যায়ের কাছে মাথানত করব না।’
Advertisement
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘সাত দফা দাবি আদায় করে ঘরে ফিরব। মামলা অনেকে হয়েছে, ভৌতিক মামলা অনেক দিয়েছেন। কিন্তু সাত দফা দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না। আমাদের চেয়ারপারসন কারাগারে যাওয়ার আগে বলে গেছেন, ‘আমি যদি নাও থাকি, জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে হবে।’
স্বৈরাচার সরকারের কারাগারে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী বন্দী। গুম, খুনের শিকার হয়েছে অসংখ্য নেতাকর্মী। সারাদেশে নতুন করে ৫ হাজার মামলা দিয়ে প্রায় ৫ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট চট্টগ্রামের অন্যতম সমন্বয়ক নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হেসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে বেলা ২টা থেকে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুরে দেড়টার পর কোরআন তেলাওয়াত ও গীতাপাঠের মধ্যদিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। সমাবেশের কারণে কাজীর দেউড়ি নূর আহমদ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমাবেশেকে কেন্দ্র করে সভাস্থলের আশপাশ ছেয়ে গেছে বিএনপি ও ছাত্রদল-যুবদলের কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি চেয়ে ব্যানার পোস্টারে। মঞ্চের সামনে নাসিমন ভবনের সামনে মঞ্চে থেকে কাজীর দেউড়ি পর্যন্ত এলাকায় অবস্থান নিয়েছে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ঐক্যফ্রন্টের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
Advertisement
আবু আজাদ/জেএইচ/এমএস