জিকির করার অবস্থার ওপর এর সাওয়াবও নির্ভরশীল; সংখ্যাধিক্যের ওপর নয়। অর্থাৎ যে সব জিকিরের মূলভাব ও অর্থ উঁচুমানের এবং উন্নত, সে জিকির যদি একনিষ্ঠতার সঙ্গে পাঠ করা হয় তবে সে জিকিরের সাওয়াব বেশি। প্রিয়নবি এমনই একটি জিকির ফজর নামাজের পর ৩ বার পড়ার কথা বলেছেন।
Advertisement
উম্মুল মুমিনি হজরত জুয়াইরিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু ফজর নামাজ পড়ে ওই স্থানেই সূর্য ওঠা পর্যন্ত অবস্থান করেন। প্রিয়নবি তাঁর সে বসা অপেক্ষা ছোট্ট একটি তাসবিহ এর ফজিলত বর্ণনা করেন। যা ৩ বার পাঠ করলেই এ দীর্ঘ সময় বসা অপেক্ষা বেশি সাওয়াব লাভের উত্তম ঘোষণা রয়েছে। আর তাহলো-
سُبْحَانَ اللهِ وَ بِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَ رِضَا نَفْسِهِ وَ زِنَةَ عَرْشِهِ وَ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ
উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালক্বিহি ওয়া রিদা নাফসিহি ওয়া যিনাতা আরশিহি ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি।’
Advertisement
অর্থ : আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তার প্রশংসার সঙ্গে, তাঁর সৃষ্টি সংখ্যা পরিমাণ, তাঁর সন্তোষ পরিমাণ, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণ এবং তাঁর বাক্যসমূহের সংখ্যা পরিমাণ।’ (মুসলিম)
আরও পড়ুন > বার্ধক্যের কঠিন রোগ থেকে মুক্তির দোয়া
এ জিকিরের ফজিলত প্রসঙ্গে প্রিয়নবি বলেন-উম্মুল মুমিনিন হজরত জুরায়বিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, একদিন খুব ভোরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর কাছ থেকে বের হলেন। যখন (প্রিয়নবি) ফজর নামাজ পড়লেন তখন হজরত জুরাযবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু নিজ নামাজের জায়গায় বসা।
অতঃপর সূর্য ওঠার পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরে ফিরে আসলেন। হজরত জুরায়বিয়া তখনও নামাজের স্থানে বসা।
Advertisement
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, আমি তোমার কাছ থেকে যাওয়া পর হতে কি তুমি এ অবস্থায় আছ? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
তখন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমার পরে আমি মাত্র ৪টি বাক্য তিনবার বলেছি। এ ৪টি বাক্য সঙ্গে তুমি এ পর্যন্ত যা বলেছ তা দিয়ে পরিমাপ কর তাহলে এর ওজনই বেশি হবে। অতঃপর প্রিয়নবি উল্লেখিত তাসবিহগুলো পাঠ করেন।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত ফজর নামাজ আদায় করার পর সূর্য ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষার সময়টি এ তাসবিহগুলো ৩বার পড়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত তাসবিহগুলো যথা সময়ে পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম