বিভিন্ন অপরাধে দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে কাতারের জেল খানায় বন্দি রয়েছেন ১৮৭ জন বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়ে যেমন বন্দি রয়েছেন তেমনি রয়েছেন ৬ মাস ১ বছর মেয়াদি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সংখ্যাও।
Advertisement
দেশটিতে বাংলাদেশের দূতাবাস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মদ, গাঁজা, ইয়াবা ইত্যাদি বিক্রি, বহন ও সেবনের সঙ্গে জড়িত এ সম্পর্কিত অপরাধীর সংখ্যাই বেশি। তালিকায় ৩ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্তের সংখ্যা রয়েছেন ৯১ জন বাংলাদেশি প্রবাসী।
এ ছাড়া ইয়াবা সম্পর্কিত মামলায় সাজাপ্রাপ্তর সংখ্যা রয়েছেন ১০ জন। দূতাবাস জানায়, কাতারে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ২ জন বাংলাদেশি কয়েদি রয়েছেন। নারী নির্যাতন অপরাধে এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদী সাজা প্রাপ্তের সংখ্যা রয়েছে ৭ জন।
এ ছাড়া ভিসা জালিয়াতির অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত রয়েছেন ২ জন এবং চুরি ও ছিনতাই এর অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদী ১ বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীর সংখ্যা ১৮ জন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে মদ, গাঁজা ও ইয়াবা সম্পর্কিত অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ায় এটিকে অস্থির সংকেত হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
Advertisement
এ বিষয়ে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশে কিংবা বিদেশে কোথাও অপরাধে জড়িয়ে পড়া কাম্য নয়। বিশেষ করে বিদেশে জীবন-জীবিকার তাগিদে এসে আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়া কেবল নিজের সর্বনাশ ডেকে আনা নয় বরং এতে দেশের সম্মান ও মর্যাদা নষ্ট করার বিষয়টিও জড়িত।
কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি সবসময় আইন মেনে সব ধরনের অপরাধ থেকে দূরে থাকতে আহ্ববান জানিয়েছেন তিনি। কমিউনিটির নেতারা বলেন, কাতারে এখন বাংলাদেশি সামাজিক সংগঠনের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক গুণ বেড়েছে।
সাধারণ প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে অপরাধ সম্পর্কিত সচেতনতা গড়ে তুলতে এসব সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এ ব্যাপারে দূতাবাস নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে এবং শ্রমিক ক্যাম্পগুলোতে প্রচারণা বা মতবিনিময় সভার মাধ্যমে সর্বস্তরের প্রবাসীদের মধ্যে কাতারের আইন-কানুন সম্পর্কে জানানো যেতে পারে বলে মনে করেন প্রবাসীরা।
এমআরএম/এমবিআর
Advertisement