ক্রিকেটীয় পরিভাষায় ‘হোয়াইটওয়াশ’ কেউ কেউ বাংলায় ‘চুনকাম’, কেউ বা আবার তুলোধুনো বলেন। আবার আজকাল ‘বাংলাওয়াশ’ শোনা যায় অনেকের মুখে। এবার জিম্বাবুয়েকে সেই বাংলাওয়াশ করলো টাইগাররা।
Advertisement
অবশ্য এটা নতুন নয়। এর আগেও তিন তিন বার জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। তবে এবারের বাংলাওয়াশটি একটু ভিন্ন। এবার নিয়ে টানা তিনবার মাশরাফি বাহিনীর কাছে বাংলাওয়াশ হলো জিম্বাবুয়ে। ইতিহাস জানাচ্ছে ২০০৬ সালের নভেম্বর - ডিসেম্বরে প্রথম ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের কৃতিত্ব দেখায় টাইগাররা। খুলনা, বগুড়া আর ঢাকায় পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতার সৃষ্টি করতে পারেনি জিম্বাবুয়ানরা। হেরে যায় সব ম্যাচে। এরপর বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ মানেই টাইগারদের একচেটিয়া কৃর্তত্ব। ২০১৪ সালের নভেম্বর - ডিসেম্বরে আবার ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে ‘বাংলাওয়াশ’ করে ছাড়ে মাশরাফির বাংলাদেশ। ৫ ম্যাচের সিরিজের সব খেলায় অনায়াস জয় টাইগারদের।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের নভেম্বরে তিন ম্যাচ সিরিজে আবারো হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুয়ে। আর এবার আবার তিন খেলার সবকটায় মাশরাফি বাহিনীর একচ্ছত্র প্রধান্য। তবে শেষ পর্যন্ত এ বাংলাওয়াশের মিশনটি স্মরণীয় হয়ে থাকলো আসলে সৌম্য সরকার আর ইমরুল কায়েসের জোড়া শতরানে।
দিন শেষে বাংলাওয়াশ ছাপিয়ে সৌম্য - ইমরুলের সেঞ্চুরিই বড় হয়ে দেখা দিল। কারণ জিম্বাবুয়েকে বাংলাদেশ এবার নিয়ে টানা তিন বার হোয়াইটওয়াশ করলো। কাজেই এটা বলেই ফেলা যায় জিম্বাবুয়েকে বাংলাওয়াশ করাটা রীতিমত অভ্যাসে পরিনত করে ফেলেছে মাশরাফির দল।
Advertisement
সেখানে এক ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জোড়া শতরানের রেকর্ড খুব কম। এবার নিয়ে মোটে তৃতীয় বার। এর আগে এক ম্যাচে মাত্র দুইবার জোড়া শতরানের কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
প্রথমবার ২০১৫ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম ইকবাল (১৩৫ বলে ১৩২) ও মুশফিকুর রহিম ( ৭৭ বলে ১০৬)। আর সর্বশেষ এক ম্যাচে দুই সেঞ্চুরির রেকর্ডটি সাকিব আল হাসান (১১৫ বলে ১১৪) ও মাহমুদউল্লাহ (১০৭ বলে ১০২)।
আর আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সৌম্য সরকার (৯২ বলে ১১৭) এবং ইমরুল কায়েস (১১১ বলে ১১৫) উপহার দিয়ে সেই সাফল্যে ভাগ বসিয়েছেন। অবশ্য আগের ম্যাচেই তামিম-মুশফিক আর সাকিব-মাহমুদউল্লাহর পাশে নিজেদের নাম লিখাতে পারতেন ইমরুল ও লিটন। কিন্তু দুজনই নিশ্চিত শতক হাতছাড়া করেছেন। ইমরুল ১০ রানের জন্য আর (৯০) আর লিটন (৮৩) ১৭ রানের জন্য ঐ দুর্দান্ত কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি।
এআরবি/এসএএস/এমবিআর
Advertisement