জাতীয়

এক কারখানায় তৈরি হচ্ছে সব কোম্পানির ফ্যান!

পাকিস্তানি ব্র্যান্ড জিইসি কিংবা জিএফসি, দেশি ন্যাশনাল বা কেআরবি। কোনো ব্র্যান্ডই বাদ যায় না আক্তার হোসেনের (৪৫) কারখানায়। দেশি-বিদেশি পাঁচটির অধিক ব্র্যান্ডের ফ্যান (বৈদ্যুতিক পাখা) তৈরি হয় একই মানুষের হাতে একই কাঁচামালে!

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মধ্যম কুয়াইশ এলাকায় এমনই এক নকল বৈদ্যুতিক পাখা তৈরির কারখানার খোঁজ পায় উপজেলা প্রশাসন।

নকল বৈদ্যুতিক পাখা তৈরির অভিযোগে কারখানা মালিক আক্তার হোসেনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলা জুড়ে বিশাল এই নকল বৈদ্যুতিক পাখা তৈরির কারখানাটি সিলগালা করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আক্তার হোসেন নামের ওই ব্যক্তি কোনো কাগজপত্র ছাড়াই দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে নকল বৈদ্যুতিক পাখা তৈরি করে আসছিলেন। ওইসব ব্র্যান্ডের কোনো ধরনের ছাড়পত্র দূরে থাক স্থানীয় কোনো সংস্থারও কোনো কাগজ বা অনুমতিপত্র নেই। অথচ এইসব বৈদ্যুতিক পাখা স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে চালু এই কারখানায় কাজ করছেন ১০ জনেরও বেশি শ্রমিক। তাদের কাজ হলো খোলাবাজার থেকে কম দামে বৈদ্যুতিক পাখা তৈরির সরঞ্জাম কিনে এনে হাতে কয়েল বেঁধে পাকিস্তানি ব্র্যান্ড জিইসি কিংবা জিএফসি ও দেশি ন্যাশনাল, কেআরবি, স্টার ও নাবিল ব্র্যান্ডের নামে প্যাকেটে ভরে বাজারজাত করা। এই অবৈধ আয়ে আক্তার হোসেন গড়েছেন তিনতলা বাড়ি। যার নিচতলায় নিজে পরিবার নিয়ে বসবাস করলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলা জুড়ে রয়েছে বিশাল এই নকল বৈদ্যুতিক পাখা তৈরির কারখানাটি। এভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর মানুষ ঠকানোর কাজ করে গেলেও কখনো তাকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন জানান, অভিযুক্ত আক্তার হোসেনকে তাৎক্ষণিকভাবে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহারের দায়ে ২৫টি তৈরি বৈদ্যুতিক পাখা ও আনুমানিক তিন লাখ টাকার বৈদ্যুতিক পাখা তৈরির কাঁচামাল জব্দ করা হয়।

আবু আজাদ/বিএ

Advertisement