ছেলে কুলাঙ্গার হলেও মা-বাবা তো ভালোবাসায় খাদ মেলাতে পারেন না। যে ছেলের ছোট হাত ধরে হাঁটতে শিখিয়েছিলেন বাবা, সেই বাবার গায়েই হাত তুলেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরের প্রদীপ বিশ্বাস। কিন্তু মারপিটের পরও একমাত্র ছেলেকে বিপাকে ফেলতে নারাজ বাবা।
Advertisement
ছেলেকে ছাড়াতে আদালতে আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিলেন প্রহৃত মানিকলাল বিশ্বাস। বৃদ্ধের দাবি, আমি তো অন্যায় করেছি!
আরও পড়ুন : মাকে সন্দেশ খাওয়ানোয় আশি বছরের বৃদ্ধ বাবাকে পেটালো ছেলে!
বুধবার ফেসবুকে ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। এতে দেখা যায়, বৃদ্ধ বাবার জামার কলার ধরে চড় মেরে যাচ্ছে ছেলে। দোষ, স্ত্রীর মধুমেহ থাকা সত্ত্বেও মিষ্টি খাইয়েছেন মানিকলাল বিশ্বাস। সামান্য এ কারণেই বাবাকে মারধর করলেন গুণধর ছেলে।
Advertisement
আরও পড়ুন : দেহ ব্যবসায় বাধ্য হচ্ছেন স্কুল শিক্ষিকা, পুলিশও
ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পরই ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। পুলিশেও খবর দেন প্রতিবেশীরা। এরপরই প্রদীপ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কুলাঙ্গার ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস অশোকনগর পৌরসভার কর বিভাগের কর্মী। গতকাল তাকে তোলা হয় বারাসত আদালতে। সেখানেই বাবার স্নেহ উপচে পড়ল ছেলের উপর। আদালতে ছেলের জামিন চাইলেন বাবা।
আরও পড়ুন : রায়ের তোয়াক্কা না করেই রাম মন্দির নির্মাণে ৭০ ট্রাক ইট যাচ্ছে
Advertisement
অাদালতে ওই বৃদ্ধ বলেন, একমাত্র ছেলে। ওকে ছাড়া চলবে না। এমনকি ছেলেকে জামিন না দিলে আত্মহত্যার হুমকিও দিলেন। পিতার এমন আর্তনাদের সাড়া দিলেন বিচারক। জামিনে মুক্তি পেলেন প্রদীপ বিশ্বাস।
মানিকলাল আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন, সন্তান কুলাঙ্গার হতে পারে, কিন্তু কুপিতা হন না। প্রদীপ বিশ্বাস নিজের সাফাইয়ে বলেছেন, মা সুগার রোগী। তাকে জোর করে মিষ্টি খাইয়ে দিয়েছিলেন বাবা। তাই মাথা ঠিক রাখতে পারেননি। তাই বলে বৃদ্ধ বাবাকে মারবেন? জবাব নেই। সূত্র : জিনিউজ।
এসআইএস/পিআর