দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সুরক্ষায় সব ধরনের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) সেমস্-গ্লোবাল-ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিক আয়োজিত ‘২য় ওয়াটার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০১৮’, ‘২১তম পাওয়ার বাংলাদেশ এক্সপো ২০১৮’ এবং ‘২৩তম কন-এক্সপো বাংলাদেশ ২০১৮’ শীর্ষক ত্রিমাত্রিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. আদর্শ সুয়েকা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, নিজস্ব শিল্পের বিকাশ এবং আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদনে সরকার বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী শুল্ক সুবিধাসহ উদ্যোক্তাদের যে কোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত। এ সময় তিনি দেশে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব আমদানি বিকল্প শিল্প গড়ে তুলতে শিল্পোদ্যাক্তাদের পরামর্শ দেন।
Advertisement
সেমস্-গ্লোবাল-ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট মেহেরুন এন. ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেগম রুখসানা কাদের, পারটেক্স স্টার গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার খালিদ মাহমুদ, এম. আলম অ্যান্ড কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফতাব আলম এবং ম্যাক্স গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক কাজী ইয়ামিনুর রশিদ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, সরকারের শিল্পনীতির ফলে দেশে পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই শিল্পায়নের ধারা বেগবান হয়েছে। এখন দেশেই উন্নতমানের আমদানি বিকল্প জিপসাম বোর্ড, আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল, ফায়ার ডোরসহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক ও নির্মাণ পণ্য তৈরি হচ্ছে। তারা দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও সুরক্ষায় এসব পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে শুল্ক সহায়তার পাশাপাশি তৈরি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক বৃদ্ধির পরামর্শ দেন। আন্তর্জাতিক এ প্রদর্শনীর আয়োজন টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের পথে বাংলাদেশকে দ্রুত এগিয়ে নেবে বলে তারা মন্তব্য করেন।
আয়োজকরা জানান, তিন দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর পাশাপাশি এক ছাদের নিচে ‘১৬তম সোলার বাংলাদেশ এক্সপো ২০১৮’, ‘১৯তম রিয়েল এস্টেট এক্সপো বাংলাদেশ ২০১৮’, ‘৩য় ইন্টারন্যাশনাল সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো বাংলাদেশ ২০১৮’ এবং ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল লাইটিং এক্সপো ২০১৮’ শীর্ষক প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছে।
১৯ দেশের প্রায় ২২০ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ৪৮০টি স্টলে বিশুদ্ধ পানি, সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ, নিরাপদ নির্মাণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বৈদ্যুতিক পণ্য ও সরঞ্জাম, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল ইত্যাদি প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
Advertisement
এসআই/এএইচ/পিআর