হুদহুদ এখন ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়েছে।আইএমডির প্রধান এল এস রাথোরি শুক্রবার বলেছেন, হুদহুদ প্রচণ্ড সাইক্লোনিক ঝড়ে রূপ নিয়েছে।চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়ার অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।রাথোরি বলেন, ‘হুদহুদ এখন অনেক শক্তিশালী হয়েছে। তাই এটি আর শুধু ঝড় নয়, ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে। হুদহুদের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও প্রবল বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি আস্তে আস্তে অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।’আইএমডি জানায়, আগামী রোববার বিকেল নাগাদ হুদহুদ ভারতের ভিসাখাপাটনাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এ ব্যাপারে ভারতীয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে ছয়টি নৌজাহাজ প্রস্তুত করেছে দেশটির নৌবাহিনী।বিএসএস (বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।আবহাওয়ার অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সে সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য বলা হয়েছে। সূত্র : এনডিটিভি/বিএসএস।
Advertisement