ক্রিকেটে তো কত রেকর্ডই না হয়! প্রতিটি ম্যাচেই হয়ে যায় অনেকগুলো রেকর্ড। কিন্তু কোনো কোনো রেকর্ড আছে যা কোনো কোনো ক্রিকেটারকে নিয়ে যায় কিংবদন্তির পর্যায়ে। বাংলাদেশের মুশফিকুর রহীম কিংবদিন্তির পর্যায়ে এমনিতেই চলে গেছেন তার অসাধারণ ক্যারিয়ার দিয়ে। তবে, এরই সঙ্গে তিনি আজ মাইলফলক রচনা করলেন, তা সত্যিই অনন্য। এই জায়গায় অন্য কাউকে আসতে হলে অপেক্ষা করতে হবে দীর্ঘদিন।
Advertisement
ক্যারিয়ারের একেবারে শুরু থেকে না হলেও উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে দাঁড়াতে খুব বেশি সময় নিতে হয়নি মুশফিকুর রহীমকে। ২০০৬ সালে যখন অভিষেক হয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, তখনও বাংলাদেশ দলের নির্ভরযোগ্য উইকেটরক্ষক হচ্ছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। খুব দ্রুতই উইকেটের পেছনে আস্থার জায়গাটা তৈরি করে নেন মুশফিকুর রহীম।
ক্যারিয়ারের বয়স হয়ে গেছে তার এক যুগ। মুশফিকুর রহীম এখনও উইকেটের পেছনে দারুণ আস্থার এক প্রতীক। সেই আস্থার প্রতিদান দিতে দিতেই আজ অন্যরকম এক ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন তিনি। উইকেটের পেছনে মুশফিকের মোট ডিসমিসালের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০১টি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ যখন মুশফিক খেলতে নামেন, তখন তার নামের পাশে ছিল ১৯৮টি ডিসমিসাল। হ্যামিল্টন মাসাকাদজার উইকেট নিয়ে পৌঁছেছিলেন ১৯৯-এ। এরপর উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে শন উইলিয়ামসের ক্যাচ ধরেই ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন মুশফিক। সর্বশেষ ক্যাচ নিলেন সিকান্দার রাজারও।
Advertisement
সব মিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে মুশফিকের ডিসমিসাল সংখ্যা হলো ২০১টি। এর মধ্যে তিনি ক্যাচ নিয়েছেন ১৫৯টি। স্ট্যাম্পিং করেছেন ৪২টি। এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫টি ক্যাচ নিয়েছিলেন তিনি। মুশফিক আজকে নিয়ে খেলছেন মোট ১৯৪টি ম্যাচ।
মুশফিকের পরের অবস্থানটি নিঃসন্দেহে খালেদ মাসুদ পাইলটের। ১২৬ ম্যাচে তার ডিসমিসাল সংখ্যা ১২৬টি। ৯১টি ধরেছিলেন ক্যাচ এবং ৩৫টি ছিল স্ট্যাম্পিং। এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ডিসমিসাল ৫টি। যার মধ্যে ৩টি ক্যাচ, ২টি স্ট্যাম্পিং। এরপরের স্থানটি ধীমান ঘোষের। তার ডিসমিসাল ১৩টি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য মুশফিক সেরা দশেও নেই। তিনি রয়েছেন ১১ নম্বরে। আর ৫টি ডিসমিসাল করতে পারলেই তিনি প্রবেশ করবেন সেরা ১০ উইকেটরক্ষকের তালিকায়। ৪৮২টি ডিসমিসাল করে রেকর্ডের পাতায় শীর্ষে নাম লিখে রেখেছেন কুমার সাঙ্গাকারা। ৪৭২টি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অসি কিংবদন্তি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। ৪২৪টি দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচারের।
বর্তমানে খেলা উইকেটরক্ষকদের মধ্যে শীর্ষে মহেন্দ্র সিং ধোনি। তার ডিসমিসাল সংখ্যা ৪২০টি। এ হিসাবে কিন্তু আবার মুশফিক রয়েছেন দুই নম্বরে। তবে অলটাইম হিসেবে মুশফিকের আগে আরও রয়েছেন পাকিস্তানের মঈন খান (২৮৭), নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (২৪২), অস্ট্রেলিয়ার ইয়ান হিলি (২৩৩), পাকিস্তানের রশিদ লতিফ (২২০), শ্রীলঙ্কার কালুভিথারানা (২০৬) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেফ ডুজন (২০৪)।
Advertisement
মুশফিকুর রহীম টেস্ট ক্রিকেটে ডিসমিসাল করেছেন ১১১টি এবং টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ৫৬টি।
আইএইচএস/বিএ