রাজনীতি

ধরপাকড়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অভিযোগ করে বলেছেন, সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে চলমান ধরপাকড়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে ভদ্রতার কোনো নিয়ম-কানুন মানেনি। বরং বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর তাদের আচরণ ছিল বেআইনি ও হিংস্র আগ্রাসনের ন্যায়।

বুধবার রাতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারাশহরেই যেন গত ২/৩ দিন অঘোষিত সান্ধ্য আইন জারি করে রেখেছে। আজ সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরসহ ৩০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে। নগরীর উপশহরের রোজভিউ হোটেলের সামনে থেকে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ, এসময় আরও কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

Advertisement

তিনি বলেন, সিলেটে রেজিস্ট্রারি মাঠের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় বিপুল জনসমাগম দেখে সরকার উন্মাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। সভা-সমাবেশকে বানচাল করতে গিয়ে গণতন্ত্রের দেহে ভোটারবিহীন সরকার যেভাবে ছুরি চালাচ্ছে তাতে সরকার নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে। আগামী নির্বাচনে ভরাডুবির ভয়ে সরকার বিরোধী দলের ওপর আগাম আক্রমণ চালাচ্ছে।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার দুঃশাসনের প্রকোপ প্রতিদিনই নুতন রূপ ধারণ করেছে। তবে পৃথিবীতে কেউ নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী হতে যেয়ে সফল হয়নি। বরং এটি হতে যেয়ে তাদের করুণ পরিণতি হয়েছে। একদলীয় নির্বাচনের বাসনা সরকার প্রধানের অন্তরে নিত্য বিরাজমান বলেই বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে গণতন্ত্রকে সমূলে উচ্ছেদে উঠে পড়ে লেগেছে।

তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলের ওপর উৎপীড়নের মাত্রা অব্যাহত থাকলে সরকারের সামনের দিনগুলো সুখকর হবে না। সরকারের সর্বব্যাপী নিপিড়নের সমুচিত জাবাব দিতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ।

খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আটককৃত সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন রিজভী।

Advertisement

কেএইচ/বিএ