৩০ প্রজাতির ১শ’ গাছ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত খুঁজে সংগ্রহ করেছেন অদম্য ইচ্ছায়। শুধু সংগ্রহ করেই দমে যাননি। বাগান করেছেন শখের বশে। এ শখই যেন শেষ নয়। পরবর্তী প্রজন্ম যেন ফরমালিনমুক্ত ফল খেতে পারে, সুস্থ-সবল জীবন নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে, সে ব্যবস্থাও করেছেন। বলছিলাম একজন জনপ্রতিনিধির স্বপ্নের কথা। তিনি মেহেদী হাসান লিটন। লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরের চর কালকিনির প্যানেল চেয়ারম্যান তিনি।
Advertisement
আরবের বিখ্যাত খুরমা খেঁজুর থেকে শুরু করে আনার, কমলা, মালটা, আমলকি, আম, জাম, গোলাপ জাম, লিচু, কামরাঙ্গা, জাম্বুরা, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, আমড়া, পেয়ারা, বরই, লেবু, পেয়ারা, পানিফল, নারিকেল, সুপারি, শরিফা, চালতা, বেল, আনারস, জলপাই ও আতাফলের মতো দেশি-বিদেশি ফল গাছের চারা লাগিয়েছেন বাগানে। কিছু গাছ থেকে ইতোমধ্যে ফলও সংগ্রহ শুরু করেছেন।
> আরও পড়ুন- ডাকাতিয়ার কেন এই মরণদশা
এমন মনমুগ্ধকর ফলের বাগানের দেখা মিলবে মতিরহাট বড়পোল সংলগ্ন তার নতুন বাড়িতে। কেন এমন চিন্তা মাথায় এলো? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ বাজারের ফল খেয়ে আমরা অসুস্থতা নিয়ে বেঁচে আছি। প্রতিদিনই আমাদের কেমিক্যাল মেশানো ফল খেতে হয়। যে কারণে অসুখের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে সুখ খোঁজার সময় থাকে না। এ চিন্তা থেকেই একটি ফরমালিনমুক্ত ফল বাগান করি।’
Advertisement
বাগান পরিচর্যার ব্যাপারে লিটন বলেন, ‘আমরা তো উপকূলীয় এলাকার মানুষ। কৃষিই আমাদের জীবন। তাই আমি নিয়মিত ঘুরে ঘুরে গাছগুলোর পরিচর্যা করি। যেটুকু সময় পাই আর কি। আমি না থাকলে কিছু লোক এ বাগানের দেখাশোনা করে। বলতে গেলে এটা আমার শখের বাগান। তাই সময় পেলেই এখানে ছুটে আসি।’
> আরও পড়ুন- হারিয়ে যাচ্ছে চশমাপরা হনুমান
বাগান করার ক্ষেত্রে সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কারো কোন সহযোগিতা পাইনি। এটুকু নিজের প্রচেষ্টায় করেছি। ফরমালিন তো দেশের একটা বড় ইস্যু। তাই ফরমালিনমুক্ত ফলের বাগান করা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ। আশা রাখি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে সহযোগিতা পাবো। তাদের পরামর্শে আরো ভালো কিছু করারও স্বপ্ন দেখি।’
আগামীর স্বপ্ন প্রসঙ্গে মেহেদী হাসান লিটন বলেন, ‘ফরমালিনের কারণে মানুষ হৃদরোগ আর ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আমার স্বপ্ন প্রতিটি বাড়ি, এমনকি ভবনের ছাদেও যেন ফরমালিনমুক্ত ফলের বাগান গড়ে ওঠে। এতে ফরমালিনের অভিশাপ থেকে আমরা বাঁচতে পারব।’
Advertisement
এসইউ/পিআর