জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এবং যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে। এটিকে কাজে লাগিয়ে সম্ভাবনাময় পণ্য রফতানির বিদ্যমান সুযোগগুলো আদায় ও জাতিসংঘের সঙ্গে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
Advertisement
মঙ্গলবার বিআইপিএসওটি মিলনায়তনে ‘জাতিসংঘের সাথে বহুমাত্রিক সহযোগিতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিআইপিএসওটি)-এর যৌথ উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও আকর্ষণীয় করতে এফবিসিসিআই সরকারের একসঙ্গে কাজ করছে। এতে করে দেশের সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তারা বিশ্বজুড়ে তাদের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রমাণ করছেন। সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং ব্যবসায়ীদের আন্তরিক ও কার্যকর প্রচেষ্টায় আগামীতে বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিআইপিএসওটি-এর কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল সাজ্জাদুল হক বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে ২য় সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে। বাংলাদেশের এই অবস্থান কাজে লাগিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
Advertisement
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রাইজ ওয়াটার হাউজকুপার্স (পিডব্লিউসি)-এর ম্যানেজিং পার্টনার মামুন রশিদ। তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরেন। বিশেষ করে তিনি তথ্যপ্রযুক্তি, তৈরি পোশাক, হালকা-প্রকৌশল শিল্প, কৃষি ইত্যাদি খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগানোর উপর গুরুত্ব দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল সৈয়দ সাব্বির আহমেদ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি এবং আমরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এস্তোনিয়ায় বাংলাদেশের কনসাল সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ প্রমুখ।
এসআই/এসএইচএস/এমএস
Advertisement