ফ্রান্সে বোরকা নিষিদ্ধের ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিটি। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ফ্রান্সে মুসলিম নারীদের জন্য ধর্মীয়ভাবে পুরো শরীর ঢেকে রাখার যে প্রথা, সেটাকে নিষিদ্ধ করা স্পষ্টতই মানবাধিকার লঙ্ঘন।
Advertisement
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিটির ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্রান্সে বোরকার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত নাগরিকদের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি আঘাত বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। দেশটির সরকারকে বোরকা নিষিদ্ধের আইনটি পুনরায় বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন তারা।
মানবাধিকারবিষয়ক ওই কমিটিতে কিছু স্বাধীন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানুষের নাগরিক এবং রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়গুলো দেখভাল করেন। বোরকা নিষিদ্ধের বিষয়ে ফ্রান্স কী পদক্ষেপ নিয়েছে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে দেশটির সরকারকে ১৮০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, দেশটিতে ২০১২ সালে দুইজন নারীকে ২০১০ সালে প্রণীত একটি আইনে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ওই আইনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সে কেউ প্রকাশ্যে এমন কোনো পোশাক পড়তে পারবেন না, যা তাদের শরীরকে ঢেকে রাখে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ফ্রান্সের ওপর এমন নির্দেশনা জারি করলো জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিটি। যদিও এ আদেশ মানার কোনো বাধ্যবাধকতা ফ্রান্সের নেই।
Advertisement
এসএ/পিআর