জাতীয়

ওষুধের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ২০১৩, বিক্রি হচ্ছে এখনও

ওষুধের এক্সপায়ার ডেট (মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ) ২০১৩ সাল। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ২০১৮ সালেও। দিন নয়, মাস নয়, পাঁচ বছর আগের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে রাজধানীতে। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রমরমা বাণিজ্য করছে কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী। আর মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার করে বিপুলসংখ্যক রোগী নিরাময়ের বদলে স্বাস্থ্যগত নানান জটিলতার শিকার হচ্ছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য। এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫১ ধারায় ‘জননী’ এবং ‘নুরানি’ নামের দুই ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ মেয়াদহীন ওষুধ সেখানে ধ্বংস করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন তেজগাঁও থানা পুলিশ সদস্যরা।

আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, আজকে তেজগাঁও এলাকায় দুইটি ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়েছি। মাত্র ১০ মিনিটেই প্রায় শতাধিক মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেখানে পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২০১৩ ও ২০১৫ সালের এক্সপায়ার ডেটের বেশকিছু ওষুধও বিক্রি করতে দেখা গেছে। এক-দুদিন কিংবা এক দুই মাস হলে মেনে নেয়া যায়। কিন্তু ৫ বছর আগের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কীভাবে বিক্রি করে। তারা বাড়তি মুনাফার লোভে এসব ওষুধ বিক্রি করছে। আর এসব ওষুধ খেয়ে রোগী নিরাময়ের বদলে স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতায় ভুগছেন।

Advertisement

তিনি জানান, ভোক্তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে জননী এবং নুরানি ফার্মেসিকে জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সতর্ক করা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী আরও কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।

জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে আব্দুল জব্বার মণ্ডল জানান।

এসআই/জেডএ/পিআর

Advertisement