সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১০ মিনিটে বিনিয়োগ বিষয়ক ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলন শুরু হয়েছে। রিয়াদের জন্য এই সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সৌদির ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিহত হওয়ার পর অনেক দেশই সৌদির এই সম্মেলন বয়কট করেছে। এর মধ্যে ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে।
Advertisement
চলতি মাসের ২ তারিখে ইস্তাম্বুল শহরে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন জামাল খাশোগি। তারপর থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তুরস্কের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, খাশোগিকে কনস্যুলেটের ভেতরেই হত্যা করা হয়েছে।
প্রথমদিকে সৌদির তরফ থেকে খাশোগিকে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। কিন্তু পরে প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্টে জানানো হয় যে, কনস্যুলেটের ভেতরে জামাল খাশোগি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে নিহত হন। এই ঘটনাকে ভয়ানক ভুল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তারা প্রথমদিকে বলেছিল যে, জামাল খাশোগি কাজ শেষে ওই দিনই কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে গেছেন। কিন্তু গত শুক্রবার প্রথমবারের মতো সৌদির তরফ থেকে খাশোগির নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করা হয়। ওই ঘটনার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, তিনি সত্য ঘটনা প্রকাশ করবেন।
Advertisement
মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের উদ্ভাবক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে দেশের তরুণ সমাজের কর্মক্ষেত্র তৈরি করাই এর মূল লক্ষ্য।
তবে এই ইকোনমিক ফোরাম নিয়ে ক্রাউন প্রিন্সের সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথা থাকলেও এর কার্যক্রম শুরুর দিনে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। গত বছরের এই বিনিয়োগ সম্মেলনের কারণে অনেক বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিল রিয়াদ। কিন্তু চলতি বছর খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগ কর্মকর্তা এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না।
তুরস্কের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন খাশোগির সঙ্গে আসলে কি হয়েছে রিয়াদকেই সে বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে। অপরদিকে, জাতীয় ও অান্তর্জাতিক গণমাধ্যম ক্রমাগত এ বিষয়টি নিয়ে সৌদিকে চাপ দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত সৌদির এই বহুল প্রত্যাশিত সম্মেলনটি কোন পথে যায় সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
টিটিএন/পিআর
Advertisement