জাতীয়

‘জামায়াত সদস্যদের ভোট থেকে দূরে রাখার সুযোগ নেই’

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সদস্যদের ভোট থেকে দূরে রাখার সুযোগ নেই। আদালতের রায় অনুযায়ী দলটির সদস্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থী বা জোটগতভাবে নির্বাচন করতে পারবেন।’

Advertisement

‘তাদের এ প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখার কোনো আইন নেই। তবে তারা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন না।’

মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয় যে, জামায়াতের অনুসারী বা নেতাকর্মী কিংবা যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরাধিকারীরা যেন কোনোভাবে নির্বাচন করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ বিষয়ে বলেছেন, ‘এজন্য প্রয়োজনীয় আইন বাংলাদেশে নেই। পরবর্তীতে বিবেচেনা করতে হবে। কেননা, অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের বিষয় আছে। সরকারের অন্যান্য আইনেরও বিষয় আছে।’

Advertisement

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতারা তাদের দাবিগুলো জানিয়েছেন। জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি আইন-কানুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা অবহিত করবো। এছাড়া আরপিও সংশোধনের বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে হবে।’

‘ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি তো দল নয়, তারা কি এমন দাবি করতে পারে’- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘যে কোনো সংগঠন আলোচনার জন্য সময় চাইলে, সিইসি সময় দিলে, আলোচনা করা যেতে পারে। তারাও তো ভোটার। ভোটাররাও তো আমাদের স্টেকহোল্ডার।’

বৈঠকে সিইসির সঙ্গে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে আগেই জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এজন্য দলটি নির্বাচনের অংশ নিতে পারবে না। এবার দলটির অনুসারীদের নির্বাচনে নিষিদ্ধের দাবি জানাল একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি।

Advertisement

এইচএস/এমএআর/জেআইএম