খেলাধুলা

শচীনকে বল করে পেসার থেকে স্পিনার হলেন পাপ্পু

দেওধার ট্রফির জন্য ভারতের জাতীয় দলের আশে পাশে থাকা ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটের উল্লেখযোগ্য পারফরমারদের নিয়ে ভারত ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তিন দলেই রয়েছেন জাতীয় দলের চেনা মুখ, রয়েছেন ঘরোয়ার সেরা পারফরমাররা।

Advertisement

তবে এদের মধ্যে ভারত ‘সি’ দলের বাহাতি স্পিনার পাপ্পু রয়ের নামটা বেশ নতুন। ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে চলতি মৌসুমেই, এখনো পর্যন্ত খেলেছেন মাত্র ৮টি লিস্ট এ ম্যাচ। তবে এই ৮ ম্যাচে বাঁহাতি স্পিনের জাদুই তাকে জায়গা করে দিয়েছে সুরেশ রায়না, আজিঙ্কা রাহানেদের দলে।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে উড়িষ্যা প্রদেশের হয়ে খেলছেন পাপ্পু। ৮ ম্যাচে মাত্র ১৮.৪২ গড়ে শিকার করেছেন ১৪টি উইকেট। ২৩ বছর বয়সী এ স্পিনারের ইকোনমিটা মাত্র ৩.৭৯। বাঁহাতি স্পিন দিয়ে তিনি পৌঁছে গেছেন জাতীয় দলের এতো কাছে, অথচ ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি ছিলেন পুরোদস্তুর বাঁহাতি পেসার।

ভারতের ব্যাটিং ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের বিপক্ষে নেটে বল করতে গিয়েই পেসার থেকে স্পিনার হয়ে গিয়েছেন পাপ্পু। নিজের ক্রিকেট শুরুর দিনগুলোর সংগ্রাম ও জীবনের বাঁকবদল সম্পর্কে জানাতে গিয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ইএসপিএন ক্রিকইনফো’কে পাপ্পু নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।

Advertisement

ঘটনা ২০১৩ সালে শচীন টেন্ডুলকারের বিদায়ী টেস্ট সিরিজের। তখন জয়পুরে ডিস্ট্রিক্ট দলের হয়ে খেলছেন পাপ্পু। কিন্তু তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল হাওড়া ইউনিয়ন ক্লাবে খেলে। শচীনের বিদায়ী সিরিজের কলকাতা টেস্টে নেটে বোলিং করার জন্য ডাকা হয়েছিল হাওড়া ইউনিয়ন ক্লাবের বোলারদের। তড়িঘড়ি করে জয়পুর থেকে কলকাতা যান পাপ্পু। সেখানেই নতুন বাঁক নেয় তার ক্যারিয়ার।

পাপ্পু বলেন, ‘শচীন টেন্ডুলকার স্যার তার ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজ খেলছিলেন তখন। সিরিজের প্রথম টেস্টের দুই দিন আগে হাওড়া ইউনিয়নের বোলারদের নেট বোলার হিসেবে ডাকা হয়েছিল। অথচ আমি তখন জয়পুরে। সেদিন রাতের বাসে করে চলে আসি কলকাতায়। পরদিন সকালে ইডেন গার্ডেনে গিয়ে আমি ভুল করে স্পিনারদের লাইনে দাঁড়িয়ে যাই। পরে জানতে পারলাম যে সেদিনের পেসারদের সংখ্যা পূরণ হয়ে গেছে। আর তখন লাইনে দাঁড়ানো স্পিনারদের মধ্যে আমিই একমাত্র ছিলাম যে বাঁহাতি স্পিন বোলিং করতে পারে। তখন ভাবললা ঈশ্বরকে (শচীন) যদি পেসের বদলে স্পিন করতে হয় তাহলে আমি সারাজীবন তাই করে যাবো।’

সেই নেট সেশনে অসাধারণ বোলিং করেন পাপ্পু। সকলের প্রশংসা পেয়ে যান তিনি। যার ফলে পরবর্তীতে বাঁহাতি স্পিনেই এগুতে থাকেন তিনি। ক্রমান্বয়ে উড়িষ্যা অনুর্ধ্ব-২৩ দল থেকে সুযোগ পেয়ে যান মূল দলে। যার ধারাবাহিকতায় এবার তিনি দেওধার ট্রফিতে খেলবেন ভারতের ‘সি’ দলের হয়ে।

এসএএস/জেআইএম

Advertisement