বলিউডের আইটেম গার্ল রাখি সায়ন্তের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেছেন ‘আশিক বানায়া আপনে’ ছবির নায়িকা তনুশ্রী।
Advertisement
‘১০ বছর কোমায় থেকে তনুশ্রী দত্ত শ্রদ্ধাভাজন বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকারকে কলঙ্কিত করতে, তার সম্মানহানি করতে তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন’- এমন বক্তব্যের জেরে তার রাখির বিরুদ্ধে এই মামলা করেন তনুশ্রী।
তনুশ্রীর আইনজীবী নিতিন সতপুতি স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, ‘আমার মক্কেলের চরিত্র ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় রাখি সায়ন্তের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রাখি যদি অভিযোগ প্রমাণ না করতে পারেন, তবে শাস্তি হিসেবে তিনি ২ বছরের জেল বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।’
Advertisement
২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির আইটেম গানে অভিনয় করার সময় নানা পাটেকারের যৌন হেনস্তার শিকার হন বলে সম্প্রতি অভিযোগ তুলেন সাবেক মিস ইন্ডিয়া তনুশ্রী দত্ত। এরপর এমন অভিযোগের খড়গ উঠে বলিউডের একাধিক রথী-মহারথীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ‘হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনে’ এখন উত্তাল বলিপাড়া।
নানা-তনুশ্রীর বিতর্কে কেউ কেউ তনুশ্রীর পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন। অন্যদিকে নানা পাটেকারের হয়ে কথা না বললেও নিঃশব্দে তাকে সমর্থনও করেছেন অনেকে। এসব কন্ট্রোভার্সির মধ্যে নাম উঠে এসেছিল রাখি সাওয়ান্তের নামও। ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির আইটেম গানে তনুশ্রীর বদলে রাখিকে নেয়া হয়। পরে রাখি, তনুশ্রীর বিষয়ে নানা রকম মন্তব্য করেছিলেন।
সে সময় রাখি বলেছিলেন, ‘তনুশ্রীর গায়ে কী হীরে-সোনা লাগানো আছে যে ওকে ছোঁয়া যাবে না? পুরোটাই পাব্লিসিটির জন্য করেছে ও। আইটেম নাম্বারে একটু ক্লোজ তো আসতেই হয়। ইমরান হাশমির সঙ্গে ইন্টিমেট দৃশ্য শ্যুট করার সময় তো তনুশ্রীর তো কোনো অসুবিধা হয়নি, তাহলে নানা পাটেকারের কী দোষ।’
১০ বছর পর তনুশ্রী সেই ঘটনার উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘আমার রিপ্লেসমেন্ট রাখি সাওয়ান্ত। সবথেকে বড় অপমান। অন্তত আরও একটু ক্লাসি কাউকে আনতে পারতে। আমার জায়গায় রাখিকে আনার কোনো দরকার ছিল? আর এর থেকেও বড় বিষয় হল, আমি পরে শুনেছিলাম, সেটে এসে আমার সম্পর্কে অজস্র খারাপ কথা বলেছে রাখি। একজন নারী হয়ে এই ধরণের মন্তব্য কেউ করে কীভাবে? নারী হিসেবে রাখি যে কী সেটা সবাই জানে।’
Advertisement
তনুশ্রীর এই মন্তব্যে পর একটি সাংবাদিকদের সামনে সমস্ত ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রাখি। তনুশ্রী দত্ত মাদক সেবন করতেন, তার সব অভিযোগ মিথ্যে, নানা পাটেকারের মতো মানুষ হয় না, তনুশ্রীর আসলে মাথার ঠিক নেই। একের পর এক বিভিন্ন কথা বলে গেছেন রাখি। তার কথায়, ‘হ্যাঁ আমি ক্লাসি নই। আমার কোনো স্ট্যান্ডার্ড নেই, কিন্তু তনুশ্রী কী? এতদিন ধরে চুপ ছিল কেন? ১০ বছর ধরে কি কোমায় ছিল যে মুখ খুলতে পারেনি। ইংরেজিতে দু-একটা কথা বলল আর সবাই ওটাকে সত্যি মেনে ওকে সমর্থন করছে। সেটে তো আমিও ছিলাম, ওখানে কেউ নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে কথা বলেনি।’
এমবিআর/জেআইএম