জাতীয়

ব্যারিস্টার মইনুলের দেখা পেলেন না মামা খন্দকার মাহবুব

রংপুরের একটি মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়ার খবরে ছুটে আসেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, ব্যারিস্টার মইনুলের আইনজীবী ও মামা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

Advertisement

মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে আসলেও অনুমতি না পাওয়ায় ভাগ্নের দেখা পাননি তিনি। রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।

ফিরে যাওয়ার সময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘মইনুলকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে সংবিধান অনুযায়ী তার আইনজীবীর জানার অধিকার আছে কিন্তু আমরা যখন তার গ্রেফতারের সংবাদ পেয়ে দেখা করতে আসলাম তখন আমাদের ডিবি কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ঊর্ধ্বতনদের সাথে কথাও বলতে দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, শুনেছি তাকে মানহানির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। গত দুই দিনে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে। ঠিক কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলো তা জানতেই এসেছিলাম। আমি ডিবি অফিসের গেটে থাকা অফিসারকে অনুরোধ করি ভেতরে ঢুকতে দেয়ার জন্য। কিন্তু সেখানকার কর্মকর্তারা উচ্চপর্যায়ে কথাবার্তা বলার পরামর্শ দেন।

Advertisement

সোমবার রাতে উত্তরায় আ স ম আবদুর রবের বাসা যান ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। এরপরই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাসাটি ঘিরে ফেলে। সোমবার রাত ১০টার দিকে রবের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ডিবির (উত্তর) একটি টিম।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, রংপুরের একটি মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রাত পৌনে ১১টায় তিনি বলেন, ব্যারিস্টার মইনুলকে মিন্টো রোডস্থ ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) রংপুরের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটিতে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।

Advertisement

গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তরের জার্নাল’ এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন- আপনি বলেছেন আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।’

মাসুদা ভাট্টির এই প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’

এআর/জেইউ/বিএ