নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ২৭ অক্টোবরই চট্টগ্রামে সমাবেশ করবো, সরকার যদি পারে তাহলে যেন ঠেকায়।
Advertisement
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ‘শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাচন ও মানবাধিকার শীর্ষক’ এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। সভার আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল ডায়ালগ এইড ফাউন্ডেশন (ইডাফ)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মান্না বলেন, সমাবেশ নিয়ে আমরা কোন নাটক করিনি। নাটক করার কোনো ব্যাপার নেই। সিলেটে ২৩ অক্টোবর সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু উনারা অনুমতি দেননি, বললেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের ওখানে অনুষ্ঠান আছে। আমরা বললাম ঠিক আছে ওরা করুক, আমরা ২৪ তারিখে করবো।
তিনি বলেন, গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চাইনি। বললাম তাহলে ২৪ তারিখে, কিন্তু ২৪ তারিখে করবোই। সমাবেশ করবো ছেড়ে যাবো না, ফিরে যাবো না। ওরা সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ভয় পেয়ে। এখন ওরা ভালো মানুষ সাজার চেষ্টা করছে।
Advertisement
মান্না বলেন, ২৭ তারিখে আমরা চট্টগ্রামে সমাবেশ করবো। ২৭ তারিখের পর এবার ২৮ বলবো না। ২৭ বলেছি ২৭ তারিখেই সমাবেশ করবো, সরকার যদি পারে তাহলে যেন ঠেকায়। তারাও জানে সিলেটে যেহেতু অনুমতি দিতে হয়েছে চট্টগ্রামে দিতে হবে।
সরকার চট্টগ্রামের সমাবেশেরও অনুমতি দেবেন আশাবাদ ব্যক্ত করে মান্না বলেন, সরকারের চামচারা বলছেন শেখ হাসিনা কিনা পারেন, উনার ক্ষমতা অপরিসীম। আজ আমি বলি কই শেখ হাসিনা, আমাদের জনসভা তো আটকাতে পারলেন না। শেখ হাসিনার যদি শুভ বুদ্ধির উদয় হয়ে থাকে তাহলে তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি, আর শুভ বুদ্ধির উদয় হয়ে থাকলে চট্টগ্রামের জনসভারও অনুমতি দেবেন।
সরকারের সমালোচনা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা বলছি, নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে, এই সরকারের কোনো সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। নির্বাচনে ক্যাম্পেইন করতে পারবেন না। আপনাদের অপছন্দ হবে না, সাধারণ মানুষের পছন্দ হবে, এরকম সরকারের লিস্ট আমাদের বলুন দিচ্ছি। এ রকম সরকার যদি দিতে না চান তাহলে তো আন্দোলন করব। এখন আবার প্রশ্ন তুলছেন যদি সাত দফা না মানেন? আমি বলি মানবেন না কেন? মানতে হবেই, মানাবো এবং মানার জন্য লড়াই করবো।
তিনি বলেন, এই লড়াই হচ্ছে, এখন যেমন সিলেটে মিটিং করছি, এরপর আমরা চট্টগ্রামে যাবো, তারপর যাবো রাজশাহীতে, সমস্ত বিভাগীয় শহর, জেলায় জেলায় যাবো আমরা, দেশের গোটা মানুষদের বলবো গত নির্বাচনের যে ভণ্ডামিটা হয়েছে, তখন ঘরের মধ্যে মনের দুঃখে বসেছিলেন, এবার যে নির্বাচনটা হবে সবাই ঘরে মধ্য থেকে বেরিয়ে আসুন।
Advertisement
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন ও যুবদল নেতা কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।
কেএইচ/জেএইচ/এমএস