জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বিশেষ করে নিটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো অত্যন্ত যত্ন সহকারে দেশটির জন্য পণ্য তৈরি করছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ব্যবহার করে জাপানিরা গর্ববোধ করে।
Advertisement
বাংলাদেশের ৮টি তৈরি পোশাক ও চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য নিয়ে টোকিও বিগ সাইট মেলায় অংশগ্রহণ করছে। পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো আধুনিক ও নতুন ডিজাইনের পোশাক সামগ্রী এবং চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন রুচিসম্মত ও উন্নতমানের দ্রব্যাদির প্রদর্শন করছেন।
টোকিওতে ২২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড চলবে আগামী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। সকালে মেলার বাংলাদেশি প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। পরে তিনি মেলায় বাংলাদেশের স্টলগুলো পরিদর্শন করেন।
এছাড়া আজ একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
Advertisement
টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সার্বিক তত্ত্বাবধান এবং বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো মেলায় বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করছেন।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা স্বাগত বক্তব্য দেন। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান সমূহকে রাষ্ট্রদূত ধন্যবাদ জানান।
জাপানের মোট তৈরি পোশাক আমদানির শতকরা ৫.৯ ভাগ সরবরাহ করে বাংলাদেশ। এ বছর জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত জাপানের পোশাক খাতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ১২৮.২%, যা রফতানিকারক দেশসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের স্বনামধন্য ব্রান্ডের জন্য পণ্য তৈরি করছে, এবং আমরা তা জাপানের জন্যও করতে চাই। এই মেলা জাপানে বাংলাদেশি উন্নতমানের পণ্যসামগ্রীর বাজার সম্প্রসারণে এবং জাপান-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ক আরো গভীর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
Advertisement
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন জেট্রোর গবেষণা বিষয়ক ব্যবস্থাপক তমোফুমি নিশিজাওয়া, ইউনিডো’র শিল্প উন্নয়ন কর্মকর্তা ইকুয়ে তোশিনাগা, জাপান টেক্সটাইল ইম্পোরটারস অ্যাসোসিয়েশন’র সিনিয়র গবেষক ইয়োশিয়াকি কামিয়ামা এবং ক্যাট অ্যাপারেল বাংলাদেশের সিনিয়র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতসুইউকি সানো।
বাংলাদেশ দূতাবাস, জাপান; বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে সহযোগিতা করে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো), ইউনাইটেড ন্যাশন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইউনিডো), জাপান ও টোকিও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন এবং জাপান টেক্সটাইল ইম্পোরটারস অ্যাসোসিয়েশন।
এমআরএম/এমএস