রাজনীতি

ব্যারিস্টার মইনুলকে ঘৃণার চোখে দেখে দেশবাসী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সম্প্রতি একটি বেসকারি টিভির টকশো-তে একজন নারী সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন যে মন্তব্য করেছেন এটা খুব দুঃখজনক। অন্যায় হয়েছে। এজন্য দেশবাসী তাকে এখন ঘৃণার চোখে দেখে।

Advertisement

সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট’র সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মইনুল হোসেন বঙ্গুবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে পরবর্তীতে দল করেছিলেন। ফ্রিডম পার্টির সঙ্গেও তিনি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ২০০৫ সালে ৩০ ডিসেম্বর জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবিরের একটি প্রতিনিধি সম্মেলনে জামায়াত ও শিবিরের প্রশংসা করে মইনুল হোসেন একটা বক্তব্য দিয়েছিলেন।

যারা একাত্তরে নারী ধর্ষণসহ মা-বোনের কোল খালি করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, তাদেরকে প্রশংসা করেছিল। এই প্রশ্নটাই মসুদা ভাট্টি তাকে করেছিল।

Advertisement

‘তার এক উক্তির মধ্য দিয়েই মইনুল হোসেন কে এটা মানুষ জানতে পেরেছে। সাংবাদিক মহলেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া, তাকে টকশো-তে না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকার ৫৫ জন সম্পাদক একসঙ্গে বিবৃতি দিয়ে তাকে নিন্দা জানিয়েছে। সারাদেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সুতরাং তাকে নিয়ে বলার কিছু নেই।’

তিনি আরও বলেন, এই ধরনের লোককে নিয়ে ঐক্য করেছে বিএনপি। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে বিএনপির অবস্থাটা কি হবে। আগামী ভোটের মাধ্যমে রাজনৈতিভাবে চরিত্রহীনদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তরের জার্নাল’ এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন- আপনি বলেছেন আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।’

মাসুদা ভাট্টির এই প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’

Advertisement

এমইউএইচ/এমআরএম/পিআর