রাজধানীর মিরপুরের ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অচলাবস্থা এক মাসেও কাটেনি। নবনিযুক্ত প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবীর বুলবুলের নিয়োগাদেশ বাতিল ও সাবেক প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. কালাম বেপারীকে পুনর্বহালের দাবিতে কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন, মিছিল মিটিং ও কলেজভবনে তালা ঝুলিয়ে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। নতুন প্রিন্সিপাল পুলিশি প্রহরায় কলেজে প্রবেশ করছেন এবং শিক্ষকদের দিয়ে বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো চেষ্টা চালাচ্ছেন।
Advertisement
পূজার ছুটির পর আজ সোমবার তিনি পুলিশি প্রহরায় কলেজে প্রবেশ করেন এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পাঠান। সকাল সাড়ে ৮টায় ডা. তারিন ক্লাস নিচ্ছিলেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ফাইনাল ইয়ারের ক্লাস বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে ক্লাস শুরু হলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে দিতে হাজির হয়ে ক্লাসরত শিক্ষার্থীদের বাইরে বেরিয়ে যেতে বলে। খবর পেয়ে প্রিন্সিপাল ছুটে আসেন। তিনি শিক্ষার্থীদের মিছিল বন্ধ করার অনুরোধ জানালে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন তা জানতে চায়।
এ সময় ক্লাসের পক্ষে ও বিপক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে দু’পক্ষের একাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির পর কলেজে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এখনও ক্যাম্পাসে পুলিশ রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে সাকিব নামে এক শিক্ষার্থীকে প্রিন্সিপাল নিজে মারধর করেন। তিনি শিক্ষার্থীর জামা ছিঁড়ে ফেলেন ও নাক ফাটিয়ে দেন। তবে প্রিন্সিপাল এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী কতিপয় শিক্ষার্থীকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করাচ্ছেন। এর সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষকও জড়িত। বিপথগামী শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিংয়ের জন্য আজ কলেজের সিনিয়র ৮ শিক্ষককে দিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
Advertisement
উল্লেখ্য, ২৫ সেপ্টেম্বর ডেন্টাল কলেজে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবিরকে পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এরপর কলেজের শিক্ষার্থীরা সাবেক অধ্যক্ষকে বহাল রাখার দাবিতে কলেজে তালা ঝুলিয়ে দেন। নতুন প্রিন্সিপাল গত এক মাসে তিনবার কলেজে আসেন এবং প্রতিবারই পুলিশি প্রহরায় আসেন।
এমইউ/এনডিএস/জেআইএম