নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থারত হিজড়াদের অধিকারে এবার হস্তক্ষেপ করার পথ খুঁজছে ট্রাম্প প্রশাসন।
Advertisement
ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসের একটি স্বারকলিপিতে নারী এবং পুরুষ লিঙ্গের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে তৃতীয় লিঙ্গের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
ওই স্বারকলিপিতে বলা হয়েছে, লিঙ্গ বলতে একজন মানুষের অপরিবর্তনীয় জৈবিক বৈশিষ্ট্যকে বোঝায় যা তার জন্মের আগে বা পরে নির্ধারণ করা যায়। এর মাধ্যমেই সে পুরুষ নাকি নারী সে বিষয়টি জানা যায়। একটি শিশুর জন্মসনদেই সে পুরুষ নাকি নারী তা উল্লেখ করা থাকে।
তবে নারী বা পুরুষ ছাড়াও সমাজে যে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ আছে সে সব মানুষ সম্পর্কে স্পষ্ট কোন তথ্য দেয়া হয়নি ওই স্বারকলিপিতে। এর অর্থ দাঁড়ায় একজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে তাহলে পুরুষ বা নারীর যে কোন একটি বেছে নিতে হবে।
Advertisement
বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অন্তর্ভূক্ত করতে আরও সম্প্রসারিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল নাগরিক সুরক্ষা অধিকার। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে সেই প্রক্রিয়া পদ্ধতিগতভাবেই অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।
সেনাবাহিনীতে তৃতীয় লিঙ্গের অংশগ্রহণ এবং লিঙ্গের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন ঠেকাতে ২০২০ সালের মধ্যেই এ ধরনের পেশায় তৃতীয় লিঙ্গের ওপর নিষেধাজ্ঞার চেষ্টা চলছে। তৃতীয় লিঙ্গের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের এই নীতি নিষ্ঠুর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষে বিচার বিভাগে নতুন সংজ্ঞা তুলে ধরা হতে পারে। যদি তা সফল হয়, তবে এই সংকীর্ন সংজ্ঞার কারণে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ তাদের বৈধ লিঙ্গ পরিচয় হারাবে।
এই প্রস্তাবনার বিষয়ে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের লোকজন ভীতি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এর বিরুদ্ধে তৃতীয় লিঙ্গের লোকজনকে সমাবেশে সমর্থন জানিয়ে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
Advertisement
টিটিএন/জেআইএম