১৭ রানে ২টি এবং ৬৬ রানের তৃতীয় উইকেট পড়ার পর কিছুটা সতর্ক হয়ে খেলতে শুরু করে বাংলাদেশ। ব্যাটিং বিপর্যয় যের ঘটে না যায়, সে লক্ষ্য সামনে নিয়ে ব্যাট করে যাচ্ছিলেন ইমরুল কায়েস এবং মোহাম্মদ মিঠুন। দু’জনের ব্যাটে আসলো ৭১ রানের জুটি।
Advertisement
এরেপর হঠাৎই ঝড় উঠলো। ঝড়টা তুললেন জিম্বাবুয়ে পেসার কাইল জার্ভিস। মাত্র ৭ বলের ব্যবধানে পরপর তিন উইকেট তুলে নিলেন তিনি। ৩ উইকেটে ১৩৭ থেকে ৬ উইকেটে হয়ে গেলো ১৩৯ রান।
সত্যিকার ব্যাটিং বিপর্যয়েই পড়ে গেলো বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতি উত্তরণ কিভাবে ঘটবে- এমন চিন্তায় যখন পুরো গ্যালারি পেরেশান, তখনই ইমরুলের সঙ্গে জুটি বাধলেন আট নম্বরে ব্যাট করতে নামা সাইফউদ্দিন। মিনি অলরাউন্ডার খ্যাত সাইফ মাঝে-মধ্যে ব্যাট হাতে ভালো করেন এমন শোনা গেলেও আগের ম্যাচগুলোতে তাকে সে চেহারায় দেখা যায়নি।
এবার দেখা গেলো। ইমরুলের সঙ্গে অসাধারণ একটি জুটি গড়ে দিলেন তিনি। ৭ম উইকেট জুটিতে ইমরুলের সঙ্গে তিনি গড়লেন ১২৭ রানের অনবদ্য এক জুটি। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে যা রেকর্ড হয়ে থাকবে। কারণ, বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই হচ্ছে ৭ম উইকেটের সেরা জুটি।
Advertisement
এর আগে সেরা জুটি ছিল মুশফিকুর রহীম আর নাঈম ইসলামের। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০১ রানের জুটি গড়েছিলেন এ দু’জন। এবার সেটা ছাড়িয়ে আরও ২৬ রান বেশি করলেন ইমরুল আর সাইফউদ্দিন। ইমরুল আউট হন ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রানে। আর সাইফউদ্দিন ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ম্যাচে। যেটা হয়ে গেলো তারও এখনও পর্যন্ত ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
আইএইচএস/