চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেনসহ ১৫০ বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদালতের আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত ভবনে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে।
Advertisement
রোববার (২১ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করা হয়। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন নগরীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন। তবে মামলায় কে বাদী হয়েছেন তা স্পষ্ট করে বলেননি তিনি।
কোতোয়ালি থানা সূত্র জানায়, আদালতের আদেশের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হেসেনের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। তখন বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় কোতোয়ালি থানার ওসিসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় সরকারি কাজে বাধাদান, কটূক্তি, এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় নেতাকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয় নসিমন ভবনে প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে নগর বিএনপি।
Advertisement
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রোববার দুপুরে কারাগারে পাঠান আদালত। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালত এই আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মফিজুল হক ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে নগরের কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় আমীর খসরু পুনরায় জামিন আবেদন করেছিলেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
তিনি আরও জানান, এর আগে গত ৭ অক্টোবর ছয় সপ্তাহের জামিন শেষ হয়। সেদিন তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আজ (২১ অক্টোবর) পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। এ ছাড়া নিম্ন আদালত থেকে মামলার নথিও পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানিতে উপস্থাপনের জন্য আদালত নির্দেশনা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিনের আবেদন করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলেও জানান আইনজীবী মফিজুল হক ভূঁইয়া ।
Advertisement
এর আগে গত ৪ আগস্ট রাতে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন। নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশে তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত গত ৪ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। এটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ক্লিপে কুমিল্লা থেকে নওমী নামের একজনের সঙ্গে কথা বলতে শোনা যায়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে মানুষজনকে নামানোর জন্য কথা বলতে শোনা যায় তাকে।
জেডএ/পিআর