জাতীয়

যুব সমাজের জন্য বর্তমান উৎসর্গ করেছি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের তরুণ ও যুব সমাজকে খেলাধুলার দিকে আকৃষ্ট করতে হবে। তাহলে জঙ্গি-মাদক থেকে দূরে থাকতে পারবে। এই তরুণ এবং যুব সমাজই দেশের চেহারা বদলে দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। একটু উদ্যোগ নিলেই নিজেরা প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। আজকের বর্তমান আমরা যুব সমাজের জন্য উৎসর্গ করেছি।

Advertisement

আজ (রোববার) দুপুরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে ৬৬টি মিনি স্টেডিয়াম, ৬ জেলায় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ইনডোর কমপ্লেক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চাই প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করতে। কিন্তু জায়গার অভাবে অনেক স্থানে মিনি স্টেডিয়াম করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি দলীয় নেতাদের কাছে স্টেডিয়ামের জায়গা খোঁজার জন্য অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন, ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশকে সারাবিশ্বে পরিচিত করেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সুনাম বয়ে এনেছে। তিনি বলেন, ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু সাভারে না রেখে প্রতিটি জেলায় নেয়া যায় কিনা সে চেষ্টা করতে হবে।

Advertisement

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণ আবার যদি ভোট দেয় এবং সরকার গঠন করার সুযোগ দেয় তাহলে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা এবং দারিদ্র্যমুক্ত করবো। দেশের আরও উন্নয়নের জন্য নতুন প্রকল্প করা হবে। বাংলাদেশে একটি পরিবারও গৃহহারা থাকবে না। প্রতিটি মানুষ ঘর পাবে।

তিনি বলেন, প্রথম যখন নীলফামারীতে ইপিজেড স্থাপন করতে চাই তখন অনেকে ব্যঙ্গ করে বলেছিল ওখানে কে কাজ করতে যাবে। আমি কারও কোনো কথায় কান না দিয়ে কাজ শুরু করি। আজ সেখানে ৩৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ছেলে-মেয়েরা বলছে, এখানে আমরা খুব ভালো আছি।আমরা এখন এখানে আর মঙ্গা দেখি না। প্রত্যেক বছর কার্তিক মাস এলে এ এলাকায় মঙ্গা শুরু হতো। এখন আর সেটা নেই। এ কথা শুনে খুব ভালো লাগলো।

শেখ হাসিনা বলেন, স্পোর্টসে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাক। যুব সমাজ সুস্থ-সুন্দর থাকুক। খেলাধুলা, লেখাপড়া সব দিক থেকে তারা নিজেদের গড়ে তুলুক। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায়।

এফএইচএস/এনএফ/আরআইপি

Advertisement