২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ভারতের হয়ে ৮৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ঝুলিতে পুরেছেন ১১২ উইকেট। বলের সুইং আর দীর্ঘ স্পেলে বল করতে পারার জন্য সুনাম ছিল প্রবীণ কুমারের। তবে অনেকটা দিন জাতীয় দলের বাইরে, ফেরার আর সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। অবশেষে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েই দিলেন ডানহাতি এই পেসার।
Advertisement
২০০৭ সালে জয়পুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় প্রবীণের। জহির খান আর আশীষ নেহরার সঙ্গে ভারতীয় পেস আক্রমণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেন তার পর থেকে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কমনওয়েলথ ব্যাংক ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতের শিরোপা জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি।
ঘরোয়া লিগে উত্তর প্রদেশের হয়ে খেলেছেন। খেলেছেন আইপিএলের মতো বড় ফ্রাঞ্চাইজি আসরে। ২০১০ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন প্রবীণ।
তবে সব কিছু ছাপিয়ে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে তিনি দেখছেন ওই কমনওয়েলথ ব্যাংক সিরিজটিকেই, ‘আমি সিবি সিরিজটা ভুলতে পারব না, যেটা আমরা অস্ট্রেলিয়ায় জিতেছিলাম। সম্ভবত আমার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ পয়েন্ট ছিল সেটাই।’
Advertisement
বয়সটা মাত্র ৩২। আরও কিছুদিন কি খেলা চালিয়ে যেতে পারতেন? প্রবীণের অবশ্য কোনো আক্ষেপ নেই। বিদায়বেলায় বলছিলেন, ‘আমার কোনো আক্ষেপ নেই। আমি আমার হৃদয় দিয়ে খেলেছি, বল করেছি। উত্তর প্রদেশে অনেক ভালো বোলার অপেক্ষায় আছে। আমি তাদের ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ করতে চাই না।’
এমএমআর/আরআইপি