সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ আবাসিক সুবিধা দিতে কাজ করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে ৪৫৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। ২৮৪ কোটি ৬০ টাকা ব্যয়ে এসব ভবন নির্মাণে কাজ পেয়েছে এম জামাল অ্যান্ড কোম্পনি লিমিটেড, জিকেবিপিএল এবং রয়েল অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণলয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
সূত্র জানায়, গণপূর্ত অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ সিজিএস কলোনিতে জরাজীর্ণ ১১টি ভবনের স্থলে ৯টি বহুতল আবাসিক নির্মাণ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৮৫০ স্কয়ার ফিটের ২২৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১২৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব ফ্ল্যাট নির্মাণে কাজ পেয়ে এম জামাল অ্যান্ড কোম্পনি লিমিটেড।
একই প্রকল্পের আওতায় এক হাজার স্কয়ার ফিটের আরও ২২৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। ১৬০ কোটি তিন লাখ টাকা ব্যয়ে এসব ফ্ল্যাট নির্মাণে যৌথভাবে কাজ পেয়েছে জিকেবিপিএল এবং রয়েল অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণলয় সূত্র জানায়, ৪৫৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
সূত্র জানায়, গত ১০ বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ আবাসিক সুবিধা আট ভাগ থেকে ২৫ ভাগে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে আরও বেশকিছু প্রকল্প চালু রয়েছে। এগুলোর কাজ শেষ হলে শুধুমাত্র রাজধানীতেই দেড় লাখ সরকারি কর্মচারী আবাসিক সুবিধার আওতায় আসবেন।
এছাড়া সচিবালয়সহ জেলা পর্যায়ে সরকারি ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের পাশাপাশি নতুন নতুন ভবন নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ হাতে নেয়া হয়েছে। সারাদেশে সরকারি অফিস, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২৩টি প্রকল্পের আওতায় ৯ হাজার ৭০২টি ফ্লাট নির্মাণ করা হয়েছে। বিচারপতি, জাতীয় সংসদ ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আজিমপুর এবং মতিঝিলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মোট এক হাজার ৫১২টি ফ্লাট নির্মাণ শেষ হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবনগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর পুরাতন ইস্কাটন রোডে নির্মাণাধীন তিনটি ২০তলা ভবন নির্ধারিত সময়ের আট মাস আগে আগামী মাসে শেষ হবে। এই ভবনে গ্রেড-১ পদমর্যাদার সচিবদের আবাসন হবে। মিরপুরেও তিনটি প্রকল্পের আওতায় ১৯৬০টি ফ্লাট নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ফ্ল্যাট নির্মাণ চলছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে সরকারি কর্মচারীদের আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে।
এমইউএইচ/বিএ/আরআইপি
Advertisement