বিনোদন

দোয়া চাইলেন আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে

বাবার জন্য দোয়া চেয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে আহনাফ তাজওয়ার। বাবাকে হারিয়ে নির্বাক আহনাফ তাজওয়ারের মুখ দিয়ে বেড়িয়েছে সেই একটি কথাই, ‘বাবার জন্য দোয়া করবেন। জীবদ্দশায় কোনো ভুল করে থাকলে বাবাকে ক্ষমা করে দেবেন।’

Advertisement

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরের দক্ষিণ পূর্ব মাদারবাড়িতে আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। পরিবারে পক্ষ থেকে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ গ্রহণ করেন তার মামা আব্দুল হালিম লোহানী। সেখানেই এসব কথা বলেন আহনাফ।

আইয়ুব বাচ্চুর মামা বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু দেশবরেণ্য শিল্পী ছিল। কিন্তু তার অহঙ্কার ছিল না। এত বড় শিল্পী হওয়ার পরও সে আমাদের খুব শ্রদ্ধা করতো। বাচ্চু বলতো, আপনি তো মামা, মানে মা মা, দুইটা মা। পায়ে ধরে সালাম করতো। খুব দানবীর ছিল। ৬০টা গিটার ছিল তার। এগুলো নিলামে দিয়েছিল। পরে সেটা বন্ধ করে দেয়। আমাকে বলেছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে দিতে চায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে কথা বলতে। পরে সেটা আর হয়ে ওঠেনি। তার মনোবল খুব শক্ত ছিল। আমরা সবার কাছে তার জন্য দোয়া চাই।’

এদিকে প্রিয় শিল্পীকে একনজর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে দক্ষিণ পূর্ব মাদারবাড়িতে হাজির হন হাজারো ভক্ত। পূর্ব মাদারবাড়ির বালুর মাঠে এ জন্য করা হয়েছে প্যান্ডেল। দুপুরে ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আইয়ুব বাচ্চুর কফিন এই প্যান্ডেলে সর্বসাধারণের জন্য রাখা হয়েছে। পরে বিকেলে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত তার কফিন সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। জানাজা শেষে তাকে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।

Advertisement

এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছায় আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ। সেখানে ১০টা ৫০ মিনিটে মরদেহ গ্রহণ করেন চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। পরে ১১টা ১০ মিনিটে মরদেহবাহী গাড়ি দক্ষিণ পূর্ব মাদারবাড়িতে আইয়ুব বাচ্চুর নানার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়।

১৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকালে না ফেরার দেশে চলে যান আইয়ুব বাচ্চু। শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ নেয়া হয় মগবাজারে তার স্টুডিও ‘এবি কিচেনে’। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। এরপর মরদেহ নেয়া হয় চ্যানেল আই কার্যালয়ে। সেখানে তৃতীয় জানাজা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ রাখা হয় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।

আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে খোলা হয়েছে শোক বই। শুক্রবার সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে এ শোক বই খোলা হয়। এরপর থেকে তার ভক্তরা লাইন ধরে শোক বইয়ে বিভিন্ন আবেগঘন মন্তব্য লিখছেন।

এনএফ/জেআইএম

Advertisement