আজ থেকে ৩৫ বছর আগে মাত্র ৬০০ টাকা পকেটে নিয়ে চট্টগ্রাম ছেড়েছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। আজ শেষবারের মতো সেই পুরোনো ঠিকানায় ফিরছেন তিনি। আর কখনই চট্টগ্রাম ছাড়বেন না তিনি। যে শহরটার অলিগলিতে গিটার বাজিয়ে বেড়ে উঠেছিলেন, সেই শহরেই আজ থেকে চিরস্থায়ী হবেন এই কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী।
Advertisement
আইযুব বাচ্চুর পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ সড়কপথে আনার কথা থাকলেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ শনিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ইউএস বাংলার উড়োজাহাজে করে মরদেহ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনা হবে। সেখান থেকে মরদেহ সরাসরি নিয়ে যাওয়া হবে নানাবাড়ি মাদারবাড়ি এলাকায়। এখানে তার একান্ত আত্মীয়-স্বজনরা তাকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পাবেন। এরপর লাশ জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আছরের নামাজের আগ পর্যন্ত সকলস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর বাদ আছর চতুর্থ জানাজা জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হবে চৈতন্যগলি পাঁচমহল্লা কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে।
এদিকে আইয়ুব বাচ্চুকে শেষ বিদায় জানাতে চট্টগ্রামে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। তার দাফন-কাফনের সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ইতোমধ্যে চৈতন্যগলির বাইশ মহল্লা কবরস্থানে কবর খোঁড়ার কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আইয়ুব বাচ্চু। এখন শুধুই অপেক্ষার পালা। শেষবারের মতো তাকে একনজর দেখতে উদগ্রীব আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও ভক্তকুল।
গত (১৮ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার সকালে না ফেরার দেশে চলে যান আইয়ুব বাচ্চু। শুক্রবার বাদ জুমআ জাতীয় ঈদগাহে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ নেয়া হয় তার গানের স্টুডিও মগবাজারে ‘এবি কিচেনে’। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় চ্যানেল আই কার্যালয়ে। সেখানে তৃতীয় জানাজা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ রাখা হয় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।
Advertisement
আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে খোলা হয়েছে শোক বই। শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাবের সামনে এ শোক বই খোলা হয়। এরপর থেকে তার ভক্তরা লাইন ধরে শোক বইয়ে বিভিন্ন আবেগঘন মন্তব্য লিখছেন।
এমবিআর/জেআইএম