গেল সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের (১৪ থেকে ১৮ অক্টোবর) মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। এমন দরপতনের কারণে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাজার মূলধন হারিয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকার উপরে। বড় অঙ্কের বাজার মূলধন হারানোর পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়। সেই সঙ্গে কমে লেনদেনের পরিমাণ।
Advertisement
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯৬ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৯০ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা।
এদিকে সপ্তাহটিতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে ৫৩ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১৬ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৩১ শতাংশ।
অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমে ২৯ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ২৭ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
Advertisement
আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ২২ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১৫ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২০ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ৯৭টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ২২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দাম।
এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয় ৫১০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৭৭৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ২৬৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ৩৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৫০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৩ হাজার ৮৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ১ হাজার ৩৪৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা বা ৩৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।
Advertisement
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৫ দশমিক ২৯ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং ২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানির শেয়ার। কোম্পানিটির ২১০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা সামিট পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। ১২৫ কোটি ৫৫ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ড্রাগন সোয়েটার, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, শাশা ডেনিমস, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যাল, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল, নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার এবং বিবিএস কেবলস।
এমএএস/জেডএ/জেআইএম