জাতীয় ক্রিকেট লিগে রানের ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন মিজানুর রহমান, ফর্মে রয়েছেন ফজলে রাব্বি মাহমুদও। যে কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে এ দুজনকেই দেয়া হয় ইনিংস সূচনা করার দায়িত্ব। কিন্তু হতাশ করেছেন দুজনই।
Advertisement
জিম্বাবুয়ে দলের করা ১৭৮ রানের লক্ষ্যে কোনো তাড়াহুড়ো বা বাড়তি চাপ ছিলো দুই ওপেনার মিজানুর ও ফজলে রাব্বির কাঁধে। তবু দুজনের শুরুটাই হয় নড়বড়ে। তবু ধীরে সুস্থেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন উদ্বোধনী জুটিকে। দুজনের ৩৫ বলের জুটি ভাঙে অপ্রত্যাশিত রান আউটে।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ১১ রানের মাথায় রানআউট হন মিজানুর। এক চারের মারে ২০ বল খেলে ৮ রান করেন তিনি। তিন নম্বরে রানরেট ঠিক করার মিশনে নামেন অধিনায়ক সৌম্য সরকার। বাহারি স্ট্রোকে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিনি। ১৫তম ওভারে চলে আসে দলীয় পঞ্চাশ।
কিন্তু ওই ওভারেই সিকান্দার রাজার বোলিংয়ে তারিসাই মুসাকান্দার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ফজলে রাব্বি। ৩৪ বলের সংগ্রামী ইনিংসে ১ চারের মারে ১৩ রান করেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে রয়েছেন ফজলে রাব্বি।
Advertisement
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৯ ওভার শেষে বিসিবি একাদশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬০ রান। অধিনায়ক সৌম্য সরকার ৪৬ বলে ৩২ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১২ বলে ৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
এর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং প্রস্তুতিটা পুরোপুরি ভেস্তে দেন বিসিবি একাদশের দুই পেসার এবাদত হোসেন চৌধুরী এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন সাইফউদ্দীন। এ দুজনের বোলিং তোপে মাত্র ১৭৮ রানেই অলআউট হয়েছে জিম্বাবুয়ে, তাদের ইনিংসে বাকি ছিলো আরও ২৮টি বল। ম্যাচ জিতে নিতে ১৭৯ রান প্রয়োজন বিসিবি একাদশের।
নয় ওভারের স্পেলে তিন মেইডেনের সাহায্যে মাত্র ১৯ রান খরচায় ৫টি উইকেট নিয়েছেন এবাদত। ৭.২ ওভার বোলিং করে ৩২ রান খরচায় তিনটি উইকেট নেন সাইফ। এছাড়া মোহর শেখ ও ইমরান আলী নেন ১টি করে উইকেট।
এসএএস/জেআইএম
Advertisement