দেশজুড়ে

মায়া কি বাঁচবে?

মায়া খাতুন, বয়স ছয় বছর। কয়েকমাস আগেও সকাল হলেই বই-খাতা হাতে সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুলে যেত সে। মুখে ছিল মায়াবি হাসি। সারাদিন দৌড়াদৌড়ি ও খেলাধুলায় মেতে থাকতো শিশুটি। তবে হঠাৎই ছন্দপতন, বন্ধ হয়ে গেছে মায়ার স্কুলে যাওয়া। বাঁকা হয়ে গেছে তার দুই চোখ। হারিয়ে গেছে মুখের হাসি। এখন বিছানায় শুয়ে শুয়ে সময় কাটছে মায়ার।

Advertisement

পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের চিরইল গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক শাহ আলম ও গৃহিণী লিপি খাতুনের ছোট মেয়ে মায়া খাতুন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। সারাদিন মাথার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে শিশুটি। ভ্যান চালক বাবার চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য না থাকায় ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে মায়া।

বাবা শাহ আলম জানান, চলতি বছরের শুরুর দিকে মায়াকে চিরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। কয়েকমাস স্কুলে যাওয়ার পর হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুরু হয় মাথা ঘামা ও ব্যথা। স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে দেখানোর পর রোগ না সারায় ধারদেনা করে মায়াকে পাবনায় শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নীতিশ কুমার কুন্ডুর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে মায়া ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা অথবা ভারতের মাদ্রাজ নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। মায়াকে সুস্থ করতে প্রয়োজন ৫/৬ লাখ টাকা।

চিকিৎসকের এমন কথা শুনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন মায়ার বাবা-মা। উন্নত চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য না থাকায় মায়াকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন তার বাবা শাহ আলম। যে উপার্জনে সংসার চালানো দায়; সেখানে মেয়ের উন্নত চিকিৎসা করানো একজন দরিদ্র বাবার কাছে অলীক স্বপ্নের মতো। সহপাঠীরা স্কুলে যাওয়ার সময় ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে শিশুটি। সুস্থ হয়ে আবারও স্কুলে যেতে চায় মায়া।

Advertisement

তবে মায়ার মা লিপি খাতুনের শতভাগ বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার বার্তা পৌঁছালে নিশ্চয় তিনি তার মেয়ের (মায়া) উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।

মায়ার পরিবারকে সহযোগিতা করতে চাইলে এই নাম্বারে যোগাযোগ করা যেতে পারে। লিপি খাতুন- ০১৭৪২২৬৭৫২৩ (বিকাশ)।

একে জামান/আরএআর/জেআইএম

Advertisement