বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গত আগস্টে যুক্ত হয়েছে প্রথম ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’। এবার তিনমাস পর নভেম্বরে বিমান বাংলাদেশের বহরে যুক্ত হচ্ছে দ্বিতীয় ড্রিমলাইনার। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহা-ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
বিশ্বের সর্বাধুনিক সুবিধা সম্বলিত বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনারকে বরণ করার জন্য বিমান সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। বর্ণিল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ওয়াটার স্যালুট ক্যানন প্রদান করা হবে ড্রিমলাইনারকে।
শাকিল মেরাজ জাগো নিউজকে জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে। ইতোমধ্যে বহরে যুক্ত হয়েছে ছয়টি বিমান। বাকি চারটি বিমান হলো বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। এর প্রথমটি গত ১৯ আগস্ট বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে। আর দ্বিতীয় ড্রিমলাইনার যুক্ত হচ্ছে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে। বাকি দুটি আগামী বছর সেপ্টেম্বরে আসবে।
তিনি বলেন, নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বিমানের বহরে যুক্ত হবে। বর্তমানে ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি বোয়িং কোম্পানিতে পেইন্টিংয়ের কাজ চলছে।
Advertisement
বিমান সূত্রে জানা গেছে, ড্রিমলাইনার চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগবে। টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এ উড়োজাহাজ। ড্রিমলাইনারে রয়েছে বিজনেস ক্লাস ২৪টি এবং ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। প্রতিটি আসনের সামনে এলইডি এস-মনিটর রয়েছে। একইসঙ্গে ড্রিমলাইনারের ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেমে (আইএফই) থাকবে ১০০টির বেশি ক্ল্যাসিক থেকে ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র।
অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ও ওয়াইফাই সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। বিমানে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে প্রত্যেক যাত্রী ১৫ মিনিটের জন্য বিনামূল্যে ১০ মেগাবাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এরপরও কোনো যাত্রী ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইলে চার্জ দিতে হবে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে রোমিং সুবিধা থাকলে আকাশে উড্ডয়নের সময় কল করতে পারবেন যাত্রীরা।
আরএম/আরএস/জেআইএম
Advertisement