খেলাধুলা

শাহরিয়ার নাফীসের সেঞ্চুরির পর ম্যাচ ড্র

বৃষ্টির কারণে প্রথম দুদিন মাঠেই নামতে পারেনি কোনো দল। বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের ব্যাটসম্যানরা অলস বসেছিল ড্রেসিং রুমে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার কারণে শেষ দু’দিন মাঠে নামতে পেরেছে তারা এবং দুইদিনে তিনটি ইনিংস খেলেছে দু’দল। যেখানে প্রথম ইনিংসে দু’দলের ব্যাটসম্যানরা দারুণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিল। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশালের ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস দুর্দান্ত এক ড্র করার ফলে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ড্র’তেই পর্যবসিত হলো। না হয়, দু’দিনেই ফল হয়ে যেতে পারতো এই ম্যাচে।

Advertisement

বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে রাজশাহীর বোলারদের সাঁড়াসি বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১৩৩ রানে অলআউট হয়ে যায় বরিশাল। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছিলেন নুরুজ্জামান। ৩১ রান করেন আল আমিন। শাহরিয়ার নাফীস করেন মাত্র ১৬ রান। ফরহাদ রেজা নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট করে নেন মুক্তার আলি এবং তাইজুল ইসলাম।

জবাব দিতে নেমে রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরাও দাঁড়াতে পারেনি বরিশালের বোলারদের সামনে। কামরুল ইসলাম রাব্বি, সোহাগ গাজী, তানভির ইসলাম এবং মনির হোসেনরা একের পর এক উইকেট তুলে নিতে থাকলে মাত্র ১৫৫ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী বিভাগ। যদিও এর মধ্যে ব্যাতিক্রম ছিলেন রাজশাহীর টেল এন্ডার ব্যাটসম্যান মুক্তার আলী। ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৩১ রান করে সাব্বির রহমান।

২২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বরিশাল। এবারও শুরুতে রাজশাহীর বোলার তাইজুলের ঘূর্ণি ফাঁদে পড়ে ওপেনার রাফসান আল মাহমুদ আউট হয়ে গেলে বিপদে পড়ার ইঙ্গিত মেলে বরিশালের। তবে শাহরিয়ার নাফীস আর শামসুল ইসলামের দারুণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়ায় বরিশাল। ১৪২ রানের জুটি গড়ে তোলেন দু’জন।

Advertisement

৬২ রান করে শামসুল ইসলাম আউট হয়ে গেলেও শাহরিয়ার নাফীস সেঞ্চুরি করেন। ১৬১ বলে ১০২ রান করে তবে আউট হন। চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগে নাফীসের এটা প্রথম সেঞ্চুরি এবং প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ১৪তম সেঞ্চুরি।

যদিও শাহরিয়ার নাফীস আউট হওয়ার পর বরিশালের ব্যাটিংয়েও ধ্বস নামে। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে বরিশাল ২২৯ রান তোলার পর দিনের খেলা শেষ হয়ে যায় এবং ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। ৩ উইকেট করে নেন তাইজুল ইসলাম এবং সাব্বির রহমান। ১ উইকেট নেন ফরহাদ হোসেন।

আইএইচএস/জেআইএম

Advertisement