শরীয়তপুর জেলাধীন নদ-নদীর অবস্থা ও অবস্থান ‘ভাঙন রোধ ও উন্নয়নে টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক কর্মশালায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, নদী ভাঙন রোধ কিভাবে করলে টেকসই হবে, সেই বিষয়ে আমরা আলোচনা করবো। ভাঙন রোধে নড়িয়া-জাজিরার ৯ কিলোমিটার এলাকায় নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণে একনেকে এক হাজার ৯৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস হয়েছে। ইতোমধ্যে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে কাজ চলছে। টেকসইভাবে ভাঙন রোধ করতে গবেষণা চলছে। রাস্তা-ঘাট অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে নদী রক্ষা কমিটির ও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের আয়োজনে শরীয়তপুর নদী রক্ষা কমিটির সহযোগিতায় কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকায় নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো. মামুন আল হাসানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষানিক সদস্য মো. আলাউদ্দিন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবদুল মাননান।
Advertisement
এ সময় শরীয়তপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. খলিলুর রহমান, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুর রহমান শেখ, জাজিরা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল হাসান, জেলা আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, রেভিনিউ ডেপুটি কালেকটর মো. মনোয়ার হোসেন, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তারেক হাসানসহ জেলার সরকারি বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তাগণ, জনপ্রতিনিধি, ভাঙন প্রবন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
মো. ছগির হোসেন/আরএ/আরআইপি