বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা ও লিড গিটারিস্ট আইয়ুব বাচ্চু মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাসায় অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। এরপর স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
Advertisement
আইয়ুব বাচ্চুর পারিবারিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া অন্যান্য সূত্রেও তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীত জগতে গিটার ও গানের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন আইয়ুব বাচ্চু। গানের পাশাপাশি গিটারেও ভক্তদের মাত করেছেন তিনি।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘রূপালি গিটার’, ‘রাত জাগা পাখি হয়ে’, ‘মাধবী’, ‘ফেরারি মন’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘ঘুমন্ত শহরে’, ‘বার মাস’, ‘হাসতে দেখ’, ‘উড়াল দেব আকাশে’। ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি,’ ‘সেই তুমি কেন অচেনা হলে’, ‘একদিন ঘুম ভাঙ্গা শহরে’, ‘মেয়ে ও মেয়ে’, ‘কবিতা সুখ ওড়াও’, ‘এক আকাশ তারা’ গানগুলো ঘুরেছে মানুষের মুখে মুখে।
Advertisement
১৯৭৮ সালে সঙ্গীতজীবন শুরু করেন আইয়ুব বাচ্চু। আইয়ুব বাচ্চু একাধারে গায়ক, লিড গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, প্লেব্যাক শিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন।
সোলসের হয়ে ব্যান্ড সঙ্গীতে পা রাখার পর ১৯৯০ সালে নিজের ব্যান্ড দল প্রতিষ্ঠা করেন আইয়ুব বাচ্চু। ব্যান্ডের নাম রাখেন ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’। পরবর্তীতে এর নাম বদলে রাখা হয় ‘লাভ রান্স ব্লাইন্ড’।
ওই বছরই এলআরবি ডাবল অ্যালবাম দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু করে। আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’। তার সফলতার শুরু দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ময়না’র মাধ্যমে। তিনি বেশ কিছু বাংলা ছবিতে প্লে-ব্যাকও করেছেন। ১৯৯৫ সালে বাচ্চু তার তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘কষ্ট’ বের করেন। বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা একক অ্যালবামগুলোর মধ্যে একটি এটি।
এলএ/আরএস/আরআইপি
Advertisement