সিলেটের পর চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আগামী ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে ও ৩০ অক্টোবর রাজশাহীতে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
Advertisement
বুধবার রাতে ফ্রন্টের বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২৩ অক্টোবর সিলেটে হযরত শাহজালাল ও হযরত শাহপরানের মাজার জিয়ারত আমরা করবো। এরপর সেখানে জনসভা করবো। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জনসভার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আলাপ-আলোচনা করছেন।’
‘আজকের বৈঠকে চট্টগ্রামে ২৭ অক্টোবর এবং রাজশাহীতে ৩০ অক্টোবর জনসভার করা সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
Advertisement
খন্দকার মোশাররফ জানান, বৃস্পতিবার বিকেল ৩টায় গুলশানে হোটেল লেক শোরে কূটনীতিকদের ব্রিফিং করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। পরবর্তীতে সুশীল সমাজের সঙ্গেও ফ্রন্ট নেতারা মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বৈঠকে লিঁয়াজো কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটির সদস্যদের নাম আজ-কালের মধ্যে আমরা গণমাধ্যমকে জানাবো।’
কত সদস্যের লিঁয়াজো কমিটি হবে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা আশা করি যে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আরও দল অন্তর্ভুক্ত হবে সেজন্য সংখ্যা নির্ধারণ কবিনি।’
রাত সাড়ে ৯টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ বৈঠক বসে। রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক চলে এক ঘণ্টা। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঘোষণার পর এই প্রথম ফ্রন্টের নেতারা বিএনপির কার্যালয়ে আসলেন। এর আগে বেশিরভাগ বৈঠক হয়েছে ফ্রন্ট নেতাদের বাসায়। এর মধ্যে গুলশানে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাসায়ও একটি বৈঠক হয়েছিল।
Advertisement
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাহেদুর রহমান, গণফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপিপন্থী পেশাজীবী নেতা ডা. জাফরুল্লাহ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো. মনসুরও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার ফ্রন্টের বৈঠকে আগামী ২৩ অক্টোবর সিলেটে হযরত শাহজালাল ও হযরত শাহপরানের মাজার জিয়ারত এবং সমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৭ দফা ও ১১ দফা লক্ষ্য নিয়ে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ হয়।
সরকারবিরোধী নতুন জোটে বিএনপি, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য ও গণফোরাম রয়েছে। মতভিন্নতার কারণে অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা এখানে নেই।
কেএইচ/বিএ